রাজ কাপুরের এমনই রাগতে দেখেছিলেন অভিনেত্রী জিনত আমান। সবার সামনে রাজ কাপুর এমন ব্যবহার করেছিলেন যে, ভয়ে একেবারে কাদা হয়ে গিয়েছিলেন বলিউড বোমসেল জিনত।
ব্লাউজ পরা জিনতকে দেখে রেগে লাল রাজ কাপুর, আঁচল সরাতেই অঘটন, ক্যামেরায় ছবি উঠেছিল সবটা
রাজ কাপুর ছিলেন একেবারেই পারফেকশনিস্ট। যেমনটি ভেবেছেন, তেমনটি না হলে, তাঁর রাগ ছিল দেখার মতো। রাজ কাপুরের এমনই রাগ, দেখেছিলেন অভিনেত্রী জিনত আমান। সবার সামনে রাজ কাপুর এমন ব্যবহার করেছিলেন যে, ভয়ে একেবারে কাদা হয়ে গিয়েছিলেন বলিউড বোমসেল জিনত।
১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় বলিউডের অন্যতম সাহসী ছবি সত্যম শিবম সুন্দরম। এই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তোলার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কও তুলেছিল। অনেকেই খোলামেলা পোশাকে জিনত আমানের শিব আরাধনাকে মেনে নিতে পারেননি। তবে এই বিতর্কিত দৃশ্য শুটিং করতে গিয়েই চোখের জলে ভেসে ছিলেন জিনত।
এক পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জিনত জানান, সত্যম শিবম সুন্দরম আমার করা সবচেয়ে কঠিন সিনেমা। তখন আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। এমনিতেই একটু ভয়ে ভয়ে থাকতাম। তার উপর জানতে পারলাম, এই ছবিতে বেশ কিছু বোল্ড দৃশ্য রয়েছে। তাই টেনশনটা একটু বেশিই ছিল।
জিনত আরও জানালেন, সত্যম শিবম সুন্দরম গানটির দৃশ্যের শুটিং হবে। আমাকে বলা হল, শুধু সাদা শাড়ি পরেই শিব মন্দিরে এসে, শিবলিঙ্গে জল ঢালতে হবে। তাও শাড়িটা পরতে হবে হাঁটু উচ্চতায়! প্রথমে শুনে অবাক হয়েছিলাম। একটু লজ্জাও পাই। শুটিংয়ের অত লোকের মাঝখানে এমন পোশাকে আসব? নানারকম দ্বিধা চলছিল মনের ভিতর। তারপর আমি নিজেই ঠিক করি, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ পরব। ভেবেছিলাম রাজ কাপুরকে অসুবিধার কথা বললে, তিনি মানা করবেন না। কিন্তু ঘটল উলটোটাই।
জিনতের কথায়, আমাকে ব্লাউজ পরা দেখেই রেগে আগুন রাজ কাপুর। চিৎকার করতে শুরু করল আমার উপর। তারপর আমাকে কাছে ডেকে এনে, নিজের হাত দিয়েই আঁচল সরিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, এই ব্লাউজ না খুললে ছবি থেকেই বাদ হয়ে যাবে। এই গানটাই আমার ছবির সবথেকে বড় উপাদান! রাজ কাপুরের মুখে একথা শুনে থতমত খেয়ে গিয়েছিলাম। চোখ ছল ছল করে ওঠে আমার। হঠাৎ বুঝতে পারি, ক্য়ামেরা চলছিল। ক্যামেরার সামনেই এসব ঘটল। পরে রাজ কাপুরের কথা মেনেই সবটা করি। এখন বুঝতে পারি, কেন এই গানটিকে উনি এমনভাবে শুট করতে চেয়েছিলেন। এই গান তো বলিউডের মাইলস্টোন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours