ঘড়িতে তখন ১০টা থেকে সাড়ে দশটা। দেখা যায় আচমকা জরুরি বিভাগের সামনে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন এক পুলিশ কর্মী। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় তাঁর নাম অরুণ কুমার দাস। প্রাথমিকভাবে দেখে যে কারও মনে হতেই পারে হঠাৎ কাজের মধ্যে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।


জাতে পুলিশ, তালে মাতাল! মাঝরাতে লুটোপুটি খাচ্ছেন কলকাতার রাস্তায়, দেখুন
প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে

ভিড়টা পাতালা হয়নি তখনও। এদিকে ওদিকে নানা প্রয়োজনে ছোটাছুটি করছেন রোগীর পরিজনরা। কলকাতা মেডিকেল কলেজের এই ব্যস্ততার ছবি কমবেশি সকলেরই চেনা। ভিড় ঠেকাতে, হাসপাতালে আগত রোগী থেকে রোগীর পরিজনদের সুবিধা-অসুবিধার কথা দেখতে মোতায়েন থাকে পুলিশ। কিন্তু, শনিবার রাতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে গেল। 


ঘড়িতে তখন ১০টা থেকে সাড়ে দশটা। দেখা যায় আচমকা জরুরি বিভাগের সামনে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন এক পুলিশ কর্মী। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় তাঁর নাম অরুণ কুমার দাস। প্রাথমিকভাবে দেখে যে কারও মনে হতেই পারে হঠাৎ কাজের মধ্যে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তখনও সিনেমার অনেক বাকি। ইমারজেন্সির বাইরে থাকা রোগীর পরিজনরাই প্রথম ঘটনাটি দেখেন। কিন্তু, কাছে যেতেই সব রহস্যের উদঘাটন হয়ে যায়। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। কিন্তু, অতিরিক্ত নেশার জেরে হারিয়ে ফেলেন ভারসাম্য। টাল খেয়ে মাটিতে পড়ে লুটোপুটি খেতে থাকেন। 

খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে আসে হাসপাতালে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। তাঁরাই এসে ধরাধরি করে ওই মদ্যপ পুলিশ কর্মীকে ভিতরে নিয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওই পুলিশ কর্মীর দায়বদ্ধতা নিয়ে। যেখানে পুলিশের কাজ নিরাপত্তা দেওয়া, সেথানে পুলিশই যদি মদ খেয়ে গড়াগড়ি খায় তাহলে সাধারণ মানুষ কাদের ভরসায় থাকবে? প্রশ্ন তুলছেন রোগীর পরিজনরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল হাসপাতালে। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours