শুধু স্বামী নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গেও সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল মধুমিতার। তাঁর আত্মীয়রা এমন দৃশ্য দেখে অবাক।
ও যা বলত তাই করতাম, তারপরও...', ছোট্ট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মধুমিতা এটা কেন করল! চোখের জল বাধ মানছে না স্বামীর
মধুমিতা রায়
প্রতিদিনের মতো অফিস বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। অন্যান্য দিনের মতো স্ত্রীর সঙ্গে টিফিনের সময় কথা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই আর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না স্ত্রীর সঙ্গে। পাশের বাড়িতে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোকজন ছুটে যায়। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায় না।
কোনও ক্রমে দরজা খোলার পরই দেখা যায়, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে মা ও পাঁচ বছরের সন্তানের নিথর দেহ। একজনের দেহ পড়ে বিছানার উপর, অপরজনের দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মধুমিতা ও তাঁর সন্তানের আকস্মিক মৃত্যুতে অবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মধুমিতা, সন্তানকেও সেই বিষ খাইয়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। গৃহবধূ কী কারণে এমন কাজ করে থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে দিশেহারা মধুমিতার স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্বাভাবিকভাবে যতটুকু মতপার্থক্য হয়, তার বেশি কোনও সমস্যাই ছিল না তাঁদের মধ্যে। তা সত্ত্বেও কেন এভাবে চলে গেলেন মধুমিতা? কাঁদতে কাঁদতে স্বামী বলছেন, যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তাই ও যা বলত তাই করতাম। আমার দিদিরা ওকে নিজের মেয়ের মতো দেখত। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, কোনও সমস্যাই ছিল না আমাদের মধ্যে। ওই পরিবারে তথা দম্পতির মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি প্রতিবেশীরাও। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours