ব্রাত্যর ঘড়ি ছিনতাই থেকে হামলার চেষ্টা, পুলিশ পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোন-কোন ধারায় মামলা করেছে জানেন?
কোন কোন ধারায় মামলা রুজু?

যাদবপুর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত আটচল্লিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগে মামলা রুজু পুলিশের। পড়ুয়াদের নামে চুরি, ছিনতাই,শ্লীলতাহানি, মারধর,আঘাতের জেরে গুরুতর জখম করার মতো একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার মন্ত্রীর গাড়ির তলায় চলে আসা আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের বিরুদ্ধেও তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করা হয় লালবাজারের তরফে। বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভর্মা ও এডিজি আইবি ও অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জাভেদ শামিম। সিপি জানান, যাদবপুরের ঘটনায় মোট সাতটি মামলা রুজু করা হয়েছে। দু’টি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ রুজু করেছে। অপরদিকে, পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভর্মা বলেন,”আটচল্লিশ জনের নামে মামলা রুজু হয়েছে যাদবপুর থানায়। এর মধ্যে পুলিশ দুটি সুয়োমোটো মামলা রুজু হয়েছে।”

কী কী মামলা হয়েছে?


) প্রথম মামলা: স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলা পুলিশের। ব্রাত্য বসুকে জোর করে আটকে রাখা,মারধর করা,মারণ অস্ত্র নিয়ে আঘাত করা,অশান্তিতে পাকানোয় উৎসাহ দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ধারায় মামলা হয়েছে।

অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা..

২) দ্বিতীয় মামলা – মনিকান্ত পারিয়া নামে একজন অভিযোগ করেন,আরএসএফ,ডিএসএফ, আইসা এবং আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কয়েকজন সদস্য ব্রাত্য বসুকে মারধর করেছেন। মন্ত্রীর পথ আটকেছেন, ঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করলে মহিলা শিক্ষকদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। বিএনএসএস (Bnss)এ মারধর, শ্লীলতাহানি, পথ আটকানো, চুরির ধারায় মামলা হয়েছে।

৩) তৃতীয় মামলা- যাদবপুর থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, কয়েকজন পড়ুয়া মিলে শ্লীলতাহানি করেছেন। সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় ও মারধর করে। এক্ষেত্রেও চুরি, শ্লীলতাহানি ও মারধরের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

৪) চতুর্থ মামলা- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের বিনয় কুমার সিংহ বলে একজন অভিযোগ করেছেন, কয়েকজন পড়ুয়া মিলি জোর করে স্টাফ কোয়াটারের ভেতর ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সরকারি সম্পত্তি নষ্টর অভিযোগে পিডিপিপি আইন ও বিএনএসএস (Bnss) অনুযায়ী আগুন জালানো জোরপূর্বক ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে প্রবেশ করা ও মারধরের ধারায় মামলা রুজু। এই মামলাতেই একজন গ্রেফতার হয়েছে।

৫)পঞ্চম মামলা- ফিরোজ আলি লস্কর নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, কয়েকজন পড়ুয়া তাঁকে আটকে রেখে মারধর করে,তার নগদ তিন হাজার টাকা,ঘড়ি ও সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। বিএনএসএস (Bnss) অনুযায়ী ছিনতাই, মারধর অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক আটকে রাখার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

৬)ষষ্ঠ মামলা- স্বপন সামন্ত নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে আঘাত করেছে একটি অজানা গাড়ির চালক। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো ও তার জেরে জখম হওয়ার ধারায় মামলা রুজু।

৭) সপ্তম মামলা – যাদবপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর অভিযোগ করেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours