আক্রান্ত উত্তম প্রমাণিকের বাড়ি পুজালি এলাকায়। বছর বত্রিশের উত্তমের বাড়িতে মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, বাবা দাদা ও বৌদি থাকেন। ৫ বছর আগে সিভিকের এই চাকরি পান। পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারছেন না, কেন মারল তাঁদের ছেলেকে।


নেট ON করে আমাকে ভাইরাল করো...' বলেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে সিভিকের সঙ্গেই যা করলেন ব্যক্তি...
অভিযুক্ত ব্যক্তি

ব্যস্ত রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়। সেখানেই কর্তব্যরত ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়র। যে ফুটে দাঁড়িয়েছিলেন, তার ঠিক উল্টোদিকের ফুটে একটি পোস্টে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো ছিল। তাতে ধরে পড়ে সবটা। হলুদ রঙের জামা পরিহিত এক ব্যক্তি আচমকাই ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালাতে থাকেন। ভয়ে পেয়ে দাঁড়িয়ে যায় একটা টোটোও। ভরা রাস্তায় এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান বাকিরা। ভয়ঙ্কর ঘটনা বজবজের খড়িবেড়িয়া এলাকায়। এক সিভিক ভলান্টিয়রকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন উত্তম প্রামাণিক নামে ওই সিভিক। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত উত্তম প্রমাণিকের বাড়ি পুজালি এলাকায়। বছর বত্রিশের উত্তমের বাড়িতে মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, বাবা দাদা ও বৌদি থাকেন। ৫ বছর আগে সিভিকের এই চাকরি পান। পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারছেন না, কেন মারল তাঁদের ছেলেকে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, যিনি মেরেছেন তাঁর নাম বিনয় কয়াল। তাঁর বাড়ি খড়িবেড়িয়া। জানা গিয়েছে, হামলার ঠিক আগের মুহূর্তে তিনি আশপাশের পথচলতি মানুষদের বলেন, “নেট অন্ করে আমায় ভাইরাল করো।” কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা চালান তিনি। তবে শুধু মাত্র ভাইরাল হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, নাকি এর পিছনে আগের কোনও শত্রুতা রয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখছে বজবজ থানার পুলিশ।


আজ সকালে ঘণ্টাখানেক আগে কর্মরত সি ভিক ভলেন্টিয়ার রাস্তায় ডিউটি করছিল, এক ব্যক্তি এসে একটি ব্যাগ থেকে ভোজলি লি বের করে তার গলা এবং মাথায় আঘাত কড়ে এবং তিনি ঘটনা মাটিতে লুকিয়ে পড়েন। খবর পাওয়ার মাত্রই বজবজ থানা এসে ওনাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং আহত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বজ বজ,হসপিটাল, তারপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অবস্থা আশঙ্কাজানো।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours