পুলিশ সূত্রে খবর, বিপদ বুঝেই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মাওবাদীরা। কিন্তু ততক্ষণে গোটা জঙ্গলই চলে এসেছে নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মায়। তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ধরে পুলিশি বাহিনী। এরপর শুরু হয় গুলিবৃষ্টি।
টের পাওয়ার আগেই গুলিবিদ্ধ! ছত্তীশগঢ়ে নিহত ১২ মাওবাদী, শহীদ দুই রক্ষী
আবার ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন। জঙ্গলের মধ্যে পুলিশে-মাওবাদীতে গুলি ছোড়াছুড়ি। রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। একের পর এক রাউন্ড গুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ছত্তীসগঢ়ে পুলিশের যৌথ অভিযানে খতম হল ১২ জন মাওবাদী। পাল্টা প্রাণ গেল ২ নিরাপত্তারক্ষীরও।
শনিবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছত্তীসগঢ়। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার মাওবাদী প্রবণ এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ছত্তীসগঢ় পুলিশের একটি দল। এদের সঙ্গী হয় কোবরা ইউনিটের সদস্যরাও। রাতের অন্ধকারেই ঘন জঙ্গলের মধ্য়ে অভিযানে নামেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিপদ বুঝেই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মাওবাদীরা। কিন্তু ততক্ষণে গোটা জঙ্গলই চলে এসেছে নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মায়। তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ধরে পুলিশি বাহিনী। এরপর শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। খতম হয় ১২ জন মাওবাদী। ঘটনায় শহীদ হন দুই নিরাপত্তারক্ষী।
দিন কতক আগেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল যৌথবাহিনী। ছত্তীসগঢ় ও ওড়িশা সীমান্তের জঙ্গলে অভিযান চালায় তারা। সেই অভিযানেও যৌথবাহিনীর সঙ্গী হয় কোবরা ইউনিটের সদস্যরা।
ওড়িশার নুয়াপদ জেলা থেকে কয়েক কিমি দূরে ছত্তীসগঢ়ের কুলারিঘাট রিজার্ভ ফরেস্টে মাওবাদীদের উপস্থিতি আগাম টের পেয়েই শুরু হয়েছিল অভিযান। কারণ, এরা কেউ সাধারণ নয়। এই দলেই ছিলেন বিখ্যাত শীর্ষ মাওবাদী নেতা চলাপতি। এককালে যার মাথার দাম ছিল কোটি টাকা। ওই অভিযানে সেদিন খতম হয় প্রায় ২০ জন মাওবাদী। মৃত্যু হয় চলাপতিরও। উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours