জলিল ভেবেছিলেন, মুন্ডু কেউ খুঁজে পাবে না। তাই দেহ সনাক্ত করতে পারবে না। তিনি নিজেও ফাঁসবেন না। কিন্তু সমস্যায় পড়েন হজরতের স্ত্রীর একটি ফোনে। হজরতের স্ত্রী সুফিয়া ও জলিলকে ফোন করে হজরতের খোঁজ নিতে থাকেন। কারণ, হজরত বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় জলিলের বাড়িতে যাচ্ছি বলে এসেছিলেন।


নৃশংসভাবে খুনের পর হজরতের কিনে আনা মদ নিয়ে ফুর্তি করেন জলিল-সুফিয়া, মৃতের স্ত্রীকেও দেন পরামর্শ... জলিলের প্ল্যানে চমকে উঠছেন দুঁদে তদন্তকারীরা
ঘটনার পুনর্নির্মাণে অভিযুক্ত জলিল (ফাইল ফোটো)


মুণ্ড কেটে নৃশংসভাবে হত্যা। হাত-পাও পুড়িয়ে দিয়েছিল। বারাসতে হজরতকে এভাবে খুনের পর কী করেছিলেন অভিযুক্ত জলিল ও তাঁর স্ত্রী সুফিয়া? পুলিশের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। হজরতকে খুনের দিন ও পরের সারাদিন কী কী ঘটেছিল? পুলিশের জেরায় কী সামনে এসেছে?


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় জলিল জানান, হজরত খুন করে খুন করে মুন্ডু ফেলে দিয়ে তিনি এবং সুফিয়া বাড়ি চলে যান। হজরতেরই কিনে নিয়ে আসা মদ খান তাঁরা। পরদিন গ্রামের মানুষ মুন্ডুহীন দেহ পড়ে আছে দেখতে পাওয়ার পরই গ্রামের আর পাঁচটা মানুষের মতো জলিল ও সুফিয়া ঘটনাস্থলে দেহ দেখতে যান।

জলিল ভেবেছিলেন, মুন্ডু কেউ খুঁজে পাবে না। তাই দেহ সনাক্ত করতে পারবে না। তিনি নিজেও ফাঁসবেন না। কিন্তু সমস্যায় পড়েন হজরতের স্ত্রীর একটি ফোনে। হজরতের স্ত্রী সুফিয়া ও জলিলকে ফোন করে হজরতের খোঁজ নিতে থাকেন। কারণ, হজরত বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় জলিলের বাড়িতে যাচ্ছি বলে এসেছিলেন। জলিল হজরতের স্ত্রীকে নিখোঁজ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়ে প্ল্যান করতে থাকে জম্মু চলে যাওয়ার। ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে জলিল জম্মু চলে যান। হজরতের দেহ সনাক্ত হওয়ার পরও সুফিয়া আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে পুলিশ মুন্ডু পাবে না। তাই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের জেরায় চোরের দলের বিবাদের প্রসঙ্গ তুলে আনেন সুফিয়া। কখনও ৪০০ গ্রাম সোনার প্রসঙ্গ তোলেন। সুফিয়া ভেবেছিলেন, পুলিশও জলিল ছাড়া চোরদের দলের বাকি সদস্য মান্নান, রানাদের সন্ধান করতে থাকবে। কিন্তু জলিল গ্রেফতার হওয়ার পর সমস্ত রহস্য ফাঁস হয়ে যায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours