অভিযোগকারী মহম্মদ আসিফ বলেন, অনলাইন একটি সাইটে নিজের গাড়িটি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তা দেখেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় গাড়িটি কাউন্সিলরকে তিনি বিক্রি করেন। চেকও দেন কাউন্সিলর। আর সেই চেক ভাঙাতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ে আসিফের।



একের পর এক চেক বাউন্স, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে সপুত্র প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর
প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রায় (ফাইল ফোটো)



 আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দুর্গাপুর নগরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে। ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম মানস রায়। তাঁর ছেলে অভ্রনীল রায়কেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেইসব অভিযোগে বলা হয়েছে, জিনিস কিনে চেক দিয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। কিন্তু, সেইসব চেক বাউন্স করেছে।


দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের এক মোবাইল ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দলের এক নেতাকে উপহার দেওয়ার নাম করে জানুয়ারিতে তাঁর কাছ থেকে দুটি দামি মোবাইল নিয়েছিলেন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস রায় ও তাঁর ছেলে অভ্রনীল রায়। মোবাইল দুটির বাজারমূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। অভিযোগ, মোবাইল কিনে চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই চেক বাউন্স করে। তারপর মোবাইলগুলির টাকা চাইলেও তা দিতে টালবাহানা করেন। ওই ব্যবসায়ী সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা জানান। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

আবার দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আসিফ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁর কাছ থেকে একটি পুরনো চারচাকা গাড়ি কেনেন মানস রায়। গাড়ির দাম বাবদ আট লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার চেকও দেন। পরদিনই ব্যাঙ্কে চেক জমা করলে বাউন্স হয় চেক। পরপর ছয়টি চেক বাউন্স হওয়ার পরেই দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আসিফ। প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আরও একটি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। জানা গিয়েছে, বেনাচিতি বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত মানস রায় ও তাঁর ছেলে অভ্রনীল রায়কে গ্রেফতার করে। বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours