এমকে গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের অধীনস্ত এমকে ইন্সটিটিউশনাল ইক্যুইটিসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাজারের এই পতন অব্যাহত থাকবে। যদিও ওই রিপোর্ট আরও বলছে যে এই বছরের শেষ ৬ মাসে বাজার প্রত্যাশিত ভাবেই খুব ভাল করবে।
২০২৫-এর শেষের দিকে 'রাজার মতো ফিরবে' ভারতের বাজার, বলছে
ক্রমাগত পড়ছে ভারতের দুই বেঞ্চমার্ক সূচক, নিফটি ৫০ ও বিএসই সেনসেক্স। ২৩ হাজার পয়েন্টের নীচে নেমে গিয়েছে নিফটি ৫০। অন্যদিকে, ৭৬ হাজারের নীচে নেমেছে সেনসেক্স। আর এই দুই সূচকের পতনের শুরু হওয়া থেকেই ২০০৮-এর অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা দেখছেন অনেক বিনিয়োগকারী। যদিও পোড়খাওয়া বিনিয়োগকারী থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলেই বলছেন বাউন্স ব্যাক করবে দালাল স্ট্রিট।
এমকে গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের অধীনস্ত এমকে ইন্সটিটিউশনাল ইক্যুইটিসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাজারের এই পতন অব্যাহত থাকবে। যদিও ওই রিপোর্ট আরও বলছে যে এই বছরের শেষ ৬ মাসে বাজার প্রত্যাশিত ভাবেই খুব ভাল করবে।
কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া একটি মিডিয়া ওয়েবিনারে এমকে বলেছে, তারা আশা করছে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নিফটি ৫০ পুনরায় ২৫ হাজারে পৌঁছে যাবে। তাঁরা আরও মনে করে, গোটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের ইক্যুইটি বিক্রিও কমে যাবে।
পরবর্তী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে দেশের বড় বড় সংস্থাগুলোর অনেক অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে যাবে, মনে করছে এমকে ইক্যুইটিস। আর এর ফলে দেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগ বাড়বে, বাজারের লিক্যুইডিটি বাড়বে, ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে ঋণ পাওয়া খুবই সহজ হবে। এর সঙ্গে যে সব সরকারি প্রকল্প মানুষের হাতে টাকা দেয় সেগুলোর কারণেও খুচরো বাজারে বিভিন্ন পণের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
মার্কেট ক্যাপের উপর নির্ভর করে এমকে ইন্সটিটিউশনাল ইক্যুইটিস বেশ কিছু শেয়ারকে গ্রিন ফ্ল্যাগ দিয়েছে। লার্জ ক্যাপ শেয়ারগুলোর মধ্যে লুপিন, জোম্যাটো, টাটা মোটরস ও ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক উল্লেখ্য। মিড ক্যাপ শেয়ারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এসকর্টস, পেটিএম ও মেট্রোপলিস। আর তারা বলছে স্মল ক্যাপ কোম্পানিরগুলোর মধ্যে স্টোভক্র্যাফট ও কোয়েসের দিকে নজর রাখতে।
বিগত কয়েকটা মাসে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী ভারতের বাজারে ইক্যুইটি বিক্রি করে দিয়েছে। আর এমকে আশা করছে এই টেন্ড ২০২৫ সালের প্রথম ৩ মাসের মধ্যেই কমে যাবে। বাজারের এমন টালমাটাল অবস্থা সত্ত্বেও ভারতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্র এখনও যথেষ্ট মজবুত। ফলে বিনিয়োগকারীদের ভট পাওয়ার তেমন কিছু নেই, বলছেন এমকে। যদিও তারা এও মনে করছে, বর্তমানের এই অবস্থার কারণে রিয়েল এস্টেট ও হেলথকেয়ার সেক্টরে বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল।
শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই শেয়ারের বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও অ্যানালিসিস করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours