ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির সেদিনের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ব্লক অফিস চত্বরে অন্যান্য কাজ হলেও নতুন কোনও ড্রেন তৈরি হয়নি। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।


ড্রেনেও স্ক্যাম! ৭ লক্ষের চুরি যাওয়া হাইড্রেন চুপিসাড়ে ফেরত দিল ওরা!
এই সেই হাইড্রেন



ইটাহার: হাইড্রেন নিয়েও কেলেঙ্কারি! 
 বাংলায় সেই খবর সম্প্রচার হতেই রাতারাতি বদলে গেল পরিস্থিতি। ‘দুর্নীতি’ ফাঁস হতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা! উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক।


পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সরকারি টাকা নয়ছয় করে কাজ না করেই বিল তোলা হয়। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে। সেই খবর সম্প্রচার হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে ইটাহার ব্লক প্রশাসন। তারপরই রাতারাতি তৈরি হল সেই হাইড্রেন। এমনকী অফিস ছুটির দিনেই তৈরি হল সেই বিতর্কিত হাইড্রেন।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ ফেব্রুয়ারি।  নাইন বাংলার তরফে ইটাহার ব্লকের বিডিও-কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘১৮ নম্বর এনআইটি-তে যে টেন্ডার হয়েছিল, তার আওতায় ব্লক চত্বরে যে হাইড্রেন নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল, সেই ড্রেনটি কোথায়?’ অভিযোগ সেই কাজের জন্য বিল পাশ হয়েছে ৭,৪৭,৫৯০ টাকার।


পুরনো কিছু ড্রেন দেখিয়ে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির সেদিনের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ব্লক অফিস চত্বরে অন্যান্য কাজ হলেও নতুন কোনও ড্রেন তৈরি হয়নি। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

গত সপ্তাহে চারদিনের অফিস ছুটির মধ্যেই কার্যত ‘চুপিসাড়ে’ তৈরি করা হয় সেই হাইড্রেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান অফিস ছুটির ফাঁকেই কাজ হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের এত তৎপরতার কারণ কী? আগে কেন তৈরি করা হল না?

এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দল অর্থাৎ বামফ্রন্ট এবং বিজেপি একসুরে বলছে, “চুরি করা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সরিয়ে ফায়দা তোলার ছক বানচাল হয়েছে।” এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ ইটাহারের বিডিও।

তবে, শাসকদলের নেতাদের দাবি, চাপে পড়ে কোনও কাজ করা হয়নি। নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, বিরোধীদের কাজই হল সমালোচনা করা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours