তবে চলতি বছরের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড গড়েছে রাহুলের দল। পর পর তিন বার। গড়ল হ্যাট-ট্রিক।


গড়ল হাটট্রিক! যা আপ পারল না, তা দিল্লির ভোটে করে দেখাল কংগ্রেস


 সম্ভবনা ছিল, আপাতত বাস্তব হল। দিল্লি নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই বাঁধ পড়েছিল আপের জয়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা মাঝে মধ্যে বলে থাকেন, সেই সমীক্ষা একটা ইঙ্গিত মাত্র। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসাবে এটিকে ধরা যায় না। তার প্রমাণ লোকসভা নির্বাচনেও মিলেছিল। যেখানে সকল বুথ ফেরত সমীক্ষায় ‘৪০০ পার’ হয়েছিল বিজেপির, সেখানে বাস্তবে ছবিটা কিন্তু একেবারে অন্যরকম।


তবে এবার বিধানসভার ভোটের আপের বছর বছর ধরে তৈরি দূর্গটা ভাঙলই বা কীভাবে? সে নিয়ে এখন হাজার বিতর্ক। গণনা এখনও চলছে, তাই ঠিক কীভাবে এমন বিপাকে পড়েছেন কেজরীবাল, তা নিয়ে খানিকটা ধন্দ রয়েছে।

তবে একাংশ বলছেন, আপের শিরে সংক্রান্তি হল কংগ্রেসের হাত ধরে। কিন্তু চলতি বিধানসভা ভোটে একটা আসনও জোটেনি তাদের। তারপরেও কীভাবে এমন কাণ্ড? অনেকে বলছেন, আসলে আপের ভোট কাটল কংগ্রেস। তবে এই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে রাহুলের শিবির। আসন জেতেনি একটাও।


তবে চলতি বছরের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড গড়েছে কংগ্রেস। পর পর তিন বার। দিল্লির ভোটে জাতীয় দলের ‘হাত’ আপাতত শূন্যই। গড়ল হ্যাট-ট্রিক।

২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপ পেয়েছিল ৬৭টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল মোট ৩টি আসন। কিন্তু খোলেনি কংগ্রেসের খাতা। একই কাণ্ড ঘটেছিল ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও। সে বছর আপ পেয়েছিল মোট ৬২টি আসন। বিজেপির খানিকটা উন্নতি হয়েছিল বটে। সেবার পদ্ম শিবিরের পকেটে এসেছিল মোট ৮টি আসন। অন্যদিকে, ফের খালি ‘হাতেই’ বাড়ি ফিরেছিল কংগ্রেস।

নতুন বছরের অঙ্কটা কেমন গেল? দুপুর দু’টো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, আপ পেয়েছে ২২টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন ও কংগ্রেস হ্যাটট্রিক করেছে শূন্য আসনে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours