জানা গিয়েছে, বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছিল কংগ্রেস। ফলে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির সম্ভাবনা ছিল। যদিও কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সমর্থন প্রত্যাহারের পর সরকার টিকিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যা ছিল বিজেপির কাছে।



পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?


 গত ২ বছরে বারবার হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুর। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এন বীরেন সিং। রবিবার রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন বীরেন সিং।


জানা গিয়েছে, বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছিল কংগ্রেস। ফলে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির সম্ভাবনা ছিল। যদিও কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সমর্থন প্রত্যাহারের পর সরকার টিকিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যা ছিল বিজেপির কাছে। কিন্তু, সূত্রের খবর, একাধিক বিধায়ক দলের হুইপ অমান্য করে অনাস্থা ভোটে বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারতেন। কারণ, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের পক্ষে। সূত্রের খবর, প্রায় ১২ জন বিধায়ক মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী বদলের পক্ষে। এমনকি, মণিপুর বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গেও বীরেন সিংয়ের মতপার্থক্য সামনে এসেছে।

এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বীরেন সিং। এদিন সকালেই দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিজেপির জয়ের পর মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কোনওরকম নেতিবাচক প্রভাব চাইছে না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই দিল্লি থেকে ফিরেই সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বীরেন সিং। তাঁর জায়গায় কে মুখ্যমন্ত্রী হন, সেটাই এখন দেখার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours