বস্তুত, নারকেলডাঙার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কিছু নয়। এরপর রবিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে তাঁর সামনেই শুরু হয় ঝামেলা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন মেয়র।
আগুন নিভতেই এবার গোষ্ঠী কোন্দল নারকেলডাঙায়, ববির সামনে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চোর স্লোগান
নারকেলডাঙায় ফিরহাদ
সায়ন্ত ভট্টাচার্য ও সুজল পালের রিপোর্ট
কলকাতা: ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই নারকেলডাঙার একাধিক ঝুপড়ি। মৃত্যু একজনের। আগুন নিভতেই এবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কাউন্সিলরের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। উঠল চোর স্লোগানও।
বস্তুত, নারকেলডাঙার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কিছু নয়। এরপর রবিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে তাঁর সামনেই শুরু হয় ঝামেলা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন মেয়র। হাতাহাতি বিক্ষোভ শুরু হয়ে সেখানে।
কেন এই গোষ্ঠী কোন্দল?
এলাকাবাসীর একাংশে অভিযোগ, যে জায়গায় এই ঝুপড়িগুলি ছিল, সেই সব এলাকা কার্যত দখল করেছেন কাউন্সিলর সচিন সিং। এই ঝুপড়ি বসাতে তিনি টাকাও নিতেন বলে অভিযোগ। প্রতি ঝুপড়ি পিছু নাকি নেওয়া হত দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা বলে দাবি করেছেন সচিনের বিরোধী গোষ্ঠী হায়দারের। এরপর আজ যখন ঘটনাস্থলে মেয়র আসেন সেই সময় হায়দার ও তাঁর অনুগামীরা সচিনের নামে নালিশ করতে যান। ওঠে চোর স্লোগান। এক মহিলা বলেন, “আমাদের সব শেষ। কাউন্সিলর দেবে? সচিন বলছে ঝুপড়ি তুলে দেব। এর আগের কাউন্সিলর ভাল ছিলেন।”
এ দিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়েছেন সচিন সিং। তিনি আবার বলেন, “বেআইনি নির্মাণ করেছে। খালের জল তুলে বিক্রি করছে। আমি বলতেই আমার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। আর তোলাবাজি কে করে সকলে যানে।” মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পঞ্চাশ বছর ধরে রয়েছে। গরিব মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours