ভারতীয় দলে গত দুই ম্যাচেই ধারাবাহিক ভালো ব্যাটিং করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। কোনও ব্যাটারই নিখুঁত নন। শ্রেয়স আইয়ারও না। তাঁরও কিন্তু একটা বড় সমস্য়া ছিল। সেটাকেই এখন যেন শক্তি বানিয়েছেন।
দুর্বলতাকেই বানিয়েছেন শক্তি! শ্রেয়স আইয়ারের সাফল্যের রহস্য
যে কোনও বোলারকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, বিরাট কোহলিকে আউট করতে কোন লাইন লেন্থে বোলিং ট্রাই করতে হবে? এখন বোধ হয় প্রত্যেকেই তার জবাব দিতে পারবেন। খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলছে অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি। পঞ্চম-ষষ্ঠ স্টাম্পে বল রাখতে পারলেই যেন কেল্লাফতে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে এই ফাঁদেই পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। এমনকি রঞ্জি ট্রফিতে রেলওয়েজের বোলার হিমাংশু সাঙ্গওয়ানও এই পন্থা অবলম্বন করেই বিরাটের উইকেট ছিটকে দিয়েছিলেন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে চোটের জন্য খেলতে পারেননি বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচে লেগ স্পিনার আদিল রশিদের ডেলিভারি অফস্টাম্পের বাইরে পড়ে। বিশাল টার্ন নিয়ে আরও বাইরে। তাতেই কট বিহাইন্ড হন। এ তো গেল বিরাটের কথা। ভারতীয় দলে গত দুই ম্যাচেই ধারাবাহিক ভালো ব্যাটিং করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। কোনও ব্যাটারই নিখুঁত নন। শ্রেয়স আইয়ারও না। তাঁরও কিন্তু একটা বড় সমস্য়া ছিল। সেটাকেই এখন যেন শক্তি বানিয়েছেন।
দু-তিন বছর আগের পরিস্থিতিই ধরা যাক। শ্রেয়স আইয়ার ব্যাটিংয়ে নামলেই প্রতিপক্ষ পেসাররা রেডি থাকতেন। শর্ট লেগে একজন ফিল্ডার। শর্ট পিচ ডেলিভারিতে বিব্রত করতেন। শর্ট পিচ ডেলিভারিতে কার্যত আউট হওয়াটা ধারাবাহিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল শ্রেয়সের জন্য। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। ৫০০-র উপর রান করেছেন। সংখ্যাটা আরও অনেক অনেক বেশি হতে পারত। বিশ্বকাপের মাঝেও দেখা গিয়েছিল তৎকালীন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ক্লাসে শর্ট পিচ ডেলিভারি নিয়ে পরিশ্রম করছেন শ্রেয়স আইয়ার।
ঘরের মাঠে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৬ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন শ্রেয়স আইয়ার। দ্বিতীয় ম্যাচে অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস। ৪৪ রানে ফেরেন। তাও রান আউট। তাঁর বিরুদ্ধে শর্ট পিচ ডেলিভারি করে যে আর লাভ নেই, ইংল্য়ান্ড পেসারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। চোখ ধাঁধানো পুল, হুক শটে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। একদা দুর্বলতাই যেন শ্রেয়সের সাফল্যের অন্যতম শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours