আদালত চাইছে, যাদের নাম সামনে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করুক রাজ্য। এই মামলায় আদালত বান্ধব আইনজীবী নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু।


 'বিগ জিরো', রাজ্যের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু


 জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডি রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। একটি বেনামি চিঠিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম উঠে আসে। আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে ছিল শুনানি। সেখানেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি।


সোমবার বিচারপতি বসু জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বিনয় তামাংদের চাইলে ক্লিনচিট দিতে পারে রাজ্য। রাজ্য়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই নিয়োগে কোনও অপরাধ নেই। শুধুমাত্র পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। আদালত চাইছে, যাদের নাম সামনে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করুক রাজ্য। এই মামলায় আদালত বান্ধব আইনজীবী নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু।

বেনামি চিঠিটি ‘খুব ডেঞ্জারাস’ বলে উল্লেখ করে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাংদের নাম এফআইয়ার-এ আসার পর তাঁদের কী করা হচ্ছে। বিচারপতি বসু সরাসরি বলেন, ‘আমি জানতে চাই, রাজ্যের উদ্দেশ্য কী? কী চাইছে রাজ্য?’


এফআইয়ার-এ নাম থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, একজনকেও নোটিস পাঠানো হয়নি। বিগ জিরো। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। সিবিআই-এর সিনিয়র আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours