পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ জানুয়ারি খুনের পর ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল রাজেশ। সঙ্গে ছিল তাঁর সহযোগীরাও। পুলিশের কানে সেই খবর যেতেই স্পেশ্যাল টিম তৈরি করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বাড়ে পুলিশি তৎপরতা।


 অঘোরে ঘুমোচ্ছিল উত্তর প্রদেশের খাটালে, ৭০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নৈহাটির তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্তকে ধরল বাংলার পুলিশ
সিসিটিভি ফুটেজ



তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব খুনের পর থেকে দফায় দফায় তপ্ত হয়ে উঠেছিল নৈহাটি। একে অপরের বিরুদ্ধে দায় ঠেলতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়েরা। মাঠে নেমে পড়েছিলেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ ঠেলাঠেলি চলছিলই। একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই আরও গুলি করে খুন নাকি ইট দিয়ে থেঁতলে খুন তা নিয়ে বেড়েছিল চাপানউতোর। সূত্রের খবর, অবশেষে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজেশ সাউকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ জানুয়ারি খুনের পর ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল রাজেশ। সঙ্গে ছিল তাঁর সহযোগীরাও। পুলিশের কানে সেই খবর যেতেই স্পেশ্যাল টিম তৈরি করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বাড়ে পুলিশি তৎপরতা। পুলিশের ওই স্পেশ্যাল টিমকে আবার চারটি দলে ভাগও করে ফেলা হয়। দু’টি দল চলে যায় ভিন রাজ্যে। কখনও বিহারের বেগুসরাই, কখনও উত্তর প্রদেশের সিকন্দারপুর, কখনও ফেফনা, কখনও সিকান্দারপুরে হানা দেয় পুলিশ। ৭০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় বাংলার পুলিশ। প্রায় ৯দিন টানা চলে অপারেশন। শেষ পর্যন্ত মেলে সাফল্য। 


উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার ফেফনা থানা এলাকায় সেখানকার লোকাল পুলিশকে নিয়ে হানা দেয় ব্যারাকপুর পুলিশের সিটের দুই অফিসার। সেখানেই একটি প্রত্যন্ত গ্রামের খাটালে রেইড করা হয়। এদিকে সে সময় সেই খাটালে অঘোরে ঘুমিয়ে ছিল রাজেশ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। সোমবারই তাঁদের বালিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। আদালত ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours