২০১৪ সালেই অভিযুক্ত ৮ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। এবারও ধরা পড়ে অভিযুক্ত। নিম্ন আদালত এবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দেওয়া হয়।
দুই শিশুকে ধর্ষণ করেছে, ফিরে এসেছে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকেও, ফের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে কুম্ভে পুণ্যস্নান ধর্ষকের
প্রতীকী ছবি
ভোপাল: লালসার নজর থাকত শিশুকন্যাদের উপর। একের পর এক শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দেয়। আর মুক্তি পেতেই কী করল সেই অপরাধী? ‘সবক’ শেখাতে ফের ওই নির্যাতিতার উপরই চালাল পৌশাচিক অত্যাচার। খুন করে তবেই ক্ষান্ত হল। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের বিচার ব্যবস্থা।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের নরসিংহগড়ে। ২০০৩ সালে অভিযুক্ত ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে অপরাধী মুক্তি পায়। ১০ বছরের সাজা খাটার পরও অপরাধী বদলায়নি। ২০১৪ সালেই অভিযুক্ত ৮ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। এবারও ধরা পড়ে অভিযুক্ত। নিম্ন আদালত এবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই সময় আদালতের তরফে বলা হয়েছিল চিহ্নিতকরণের সময় নির্যাতিতার বাবা উপস্থিত ছিল, তা তদন্ত প্রভাবিত করতে পারে।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফল যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা টের পাওয়া গেল এ বছর। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারির রাতে ১১ বছরের এক মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ধর্ষণের পর ঝোঁপে তাঁর দেহ ফেলে রেখে গিয়েছিল অভিযুক্ত। পরেরদিন সকালে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণ নিশ্চিত হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কাছে হার মানে নাবালিকা।
পুলিশ তদন্তে নেমে ৪৬ জায়গায় ১৩৬টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে। অভিযুক্ত পালিয়ে মহাকুম্ভে স্নান করতে যায়। জয়পুর যাওয়ার পথেই ট্রেনে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে ডিএনএ লিঙ্কিং করে অন্য কোনও ধর্ষণের সঙ্গে অভিযুক্ত জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours