মৃত ছাত্রের বাবা গনেশ জালান বলেন, "শিক্ষকদের সামনে কী করে ছাত্ররা মারামারি করে? স্কুলে কোনও পড়াশোনা হয় না। আমার ছেলের মৃত্যু জন্য যে দায়ী তার শাস্তি চাই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে।" মৃতের বাবা বলেন, "ছেলের বুকে খুব মেরেছে। ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে। স্কুল যখন চলছিল সেই সময় ঝামেলা হয়েছে। ক্লাসের ভিতর কী করে এই ঘটনা ঘটে? শিক্ষক কী করছিলেন?"
স্কুলে সহপাঠীর মারে মৃত্যু ছাত্রের, পুত্রশোকে কাতর মা বললেন, 'ছ'মাস আগে হারিয়েছি মেয়েকেও'
পুত্রশোকে কাতর মা

চাঁপাদানি: সহপাঠীর মারে মৃত্যু ছাত্রের। ক্লাস চলাকালীন একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়ায় সহপাঠীরা। অভিযোগ সেই সময়ই এক সহপাঠী অপর সহপাঠীকে ঘুষি মারে। পরে আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে। এ দিকে, পড়ুয়া মৃত্যুর খবরের ঘটনায় উত্তপ্ত স্কুল চত্বর। বাকি অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মৃতের মা জানিয়েছেন, ছ’মাস আগেই তাঁরা হারিয়েছেন কন্যাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের মেয়ের। ছ’মাসের মধ্যে হারালেন ছেলেকেও। অভিযুক্ত নাবালককে আটক করেছে পুলিশ।


মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপদানী আর্য বিদ্যাপিঠ স্কুলে। মৃত পড়ুয়ার নাম অভিনব জালান (১৫)। জানা গিয়েছে, স্কুলে ক্লাস চলছিল। একটা নাগাদ ক্লাস টেনের সহপাঠীদের মধ্যে মারামারি হয়। অভিযোগ, অভিনবকে সেই সময় বুকে ঘুসি মারে এক সহপাঠী। সে লুটিয়ে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষক এবং এলাকার লোকজন তাকে টোটো করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় স্কুলে ছিলেন না। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অন্য স্কুলে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে চলে আসেন। শুনেছেন স্কুলের একই ক্লাসের দুই ছেলের মধ্যে মারামারি হয়েছে। চাঁপদানী পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী বিক্রম গুপ্তা জানান, “স্কুলের মধ্যে মারামারি হয়েছে। একটা ছেলে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে শুনেছি। জানতে পেরে আমরা টোটো করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।”


মৃত ছাত্রের বাবা গনেশ জালান বলেন, “শিক্ষকদের সামনে কী করে ছাত্ররা মারামারি করে? স্কুলে কোনও পড়াশোনা হয় না। আমার ছেলের মৃত্যু জন্য যে দায়ী তার শাস্তি চাই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে।” মৃতের বাবা বলেন, “ছেলের বুকে খুব মেরেছে। ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে। স্কুল যখন চলছিল সেই সময় ঝামেলা হয়েছে। ক্লাসের ভিতর কী করে এই ঘটনা ঘটে? শিক্ষক কী করছিলেন?”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours