পরের দিন অর্থাৎ কাল (শুক্রবার) ট্যাক্সি চালক তিনজনকে পার্কসার্কসের কাছাকছি এলাকায় নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে বাইকে তিনজনকে নিয়ে রওনা দেয় আফরোজ (চারজন এক বাইকে)। কিছুদূর গিয়ে একটি অন্ধকার এলাকায় যুবরাজকে বাইক থেকে নামিয়ে স্কুটারে তুলে দেয়, ছবি দেখিয়ে চিনিয়ে দেয় সঙ্গে তুলে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র।


সুশান্তর পরিচিত কেউ কি...., কসবা কাণ্ডে নয়া মোড়
হামলার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে


কসবাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক রহস্যের খোলসা হচ্ছে। কী প্ল্যান কষেছিল অভিযুক্তরা? সবটাই ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের বৈশালী থেকে এক যুবক প্রায় মাস খানেক আগেই কলকাতায় এসেছিল। বেশ কয়েকবার এলাকায় রেইকি করে তারা। এরপর যুবরাজ কুমার এবং বাকি এক যুবক বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রেনে হাওড়া স্টেশনে আসে। সেখান থেকে ফেরি পার করে বাবুঘাট আসে দু’জন। তাদের ট্যাক্সি নিয়ে বাবুঘাটে আনতে যায় আগে থেকে কলকাতায় থাকা যুবকরা। এরপর তিনজন একসঙ্গে ট্যাক্সি করে চলে যায় লেকটাউন। লেকটাউনে থাকার ব্যবস্থা করেছিল আফরোজ খান (বর্ধমান থেকে ধৃত)।

আফরোজ নিজের পরিচিত গুলশান কলোনির বাসিন্দাকে বলে লেকটাউনে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনজন একসঙ্গে লেকটাউনে একটি ফ্ল্যাটে ছিল। রাতে গুলজার ট্যাক্সি ড্রাইভারকে নিয়ে যায়। পরেরদিন চার নম্বর ব্রিজের কাছে নামিয়ে দিতে বলে ট্যাক্সি চালককে।

পরের দিন অর্থাৎ কাল (শুক্রবার) ট্যাক্সি চালক তিনজনকে পার্কসার্কসের কাছাকছি এলাকায় নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে বাইকে তিনজনকে নিয়ে রওনা দেয় আফরোজ (চারজন এক বাইকে)। কিছুদূর গিয়ে একটি অন্ধকার এলাকায় যুবরাজকে বাইক থেকে নামিয়ে স্কুটারে তুলে দেয়, ছবি দেখিয়ে চিনিয়ে দেয় সঙ্গে তুলে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যুবরাজ জানিয়েছে, আফরোজ নির্দেশ দিয়েছিল বন্দুক নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ভয় দেখানোর জন্য। পিছন থেকে বাকিরা এসে যা করার করবে। পিছনের ট্যাক্সিতে করে আফরোজ এবং বাকি বিহারের দুই যুবক এগোতে থাকে। কিছুদূর এগোনোর পর ট্যাক্সি নিয়ে বাকিরা আর এগোয়নি। বাইপাসের দিকে চলে যায়।

কলকাতা পুলিশ দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন একটি বাইক এবং আফরোজের মুভমেন্ট জানাতে পারে। হাওড়া থেকে শুরু করে পর পর জেলা পুলিশকে জানানো হয়। ছবি পাঠানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। সেই ছবি দেখে বর্ধমানের গোলসিতে নাকা চেকিংয়ে পুলিশ আটক করে আফরোজকে।

পুলিশ জানতে পেরেছে আফরোজ হল সুশান্ত ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ। সেই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ

বর্তমানে কোন কোন বিষয়ে তদন্ত চলছে?

১) স্কুটার চালকের খোঁজ চলছে।

২) বাকি দুই বিহারের যুবকের খোঁজ চলছে তল্লাশি।

৩) ধৃত আফরোজ কি নিজেই সুপারি কিলার নিয়ে এসেছিলে ? নাকি অন্য কারুর নির্দেশে আফরোজ এই গোটা পরিকল্পনা সাজিয়েছিল?

৪) ধৃত ট্যাক্সি চালক আফরোজের পুরোনো পরিচিত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours