বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর), বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বর্তমানে ভারতের শীর্ষ আদালতের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি হলেন বিচারপতি খান্না। বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূরই তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে বিচারপতি খান্নার নাম সুপারিশ করেছিলেন।


প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, দায়িত্ব নেবেন কবে?
বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর), বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বর্তমানে ভারতের শীর্ষ আদালতের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি হলেন বিচারপতি খান্না। বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর তিনি এই পদ গ্রহণ করবেন। ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ, ১০ নভেম্বর অবসর নেবেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূর। ২০২২-এর ৮ নভেম্বর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনিই তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে বিচারপতি খান্নার নাম সুপারিশ করেছিলেন।


কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী, অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেছেন, “ভারতের মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শের পর, ভারতের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, মাননীয় রাষ্ট্রপতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, শ্রী সঞ্জীব খান্নাকে ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।”

ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি খান্না। ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত তাঁর এই পদে থাকার কথা। অর্থাৎ, প্রায় সাত মাসের মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। ২০১৯-এর ১৮ জানুয়ারি, দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত করা হয়েছিল বিচারপতি খান্নাকে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তাঁর মেয়াদে, তিনি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মামলার বেঞ্চের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে, দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং-এর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন তিনি। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য কেজরীবালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিচারপতি খান্না। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট সম্পর্কিত মামলাতেও রায় দিয়েছিলেন তিনি। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল এবং নির্বাচনী বন্ড মামলা-সহ সাংবিধানিক বেঞ্চে হওয়া একাধিক মামলার রায়েও অবদান রয়েছে তাঁর।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours