আয়লা,আমফান,ইয়াস,রেমালের মতো বহু ঝড়-ঝাপ্টা সামলেছে সুন্দরবন। এখানকার মানুষ যেমন ঝড় চেনে। তেমনই চেনে কান্তিকেও। আর সেই চেনা একই ছবি। এবারও ঘূর্ণিঝড়ের আগেই কান্তি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকা রায়দিঘিতে।
৮০ পার, তাও ক্লান্তি নেই কান্তির! দানা ঝাপটানোর আগেই হাজির সুন্দরবনে
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী
সুন্দরবনের মানুষজন কী যেন বলেন? ‘ঝড়ের আগে কান্তি আসে…’ এবারও কিন্তু তার অন্যথা হল। ঠিক পৌঁছে গেলেন সেখানে। ওড়িশার ধামরায় বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের। তবে তার প্রভাবে অশান্ত থাকবে উপকূলের দুই জেলা। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে সেখানে নদী-সমুদ্র ধীরে ধীরে রূপ বদলাতে শুরু করলেও ঝড় সেভাবে এখন হচ্ছে না। আর দানা হানা দেওয়ার আগেই মুহূর্তেই এসে হাজির সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
আয়লা,আমফান,ইয়াস,রেমালের মতো বহু ঝড়-ঝাপ্টা সামলেছে সুন্দরবন। এখানকার মানুষ যেমন ঝড় চেনে। তেমনই চেনে কান্তিকেও। আর সেই চেনা একই ছবি। এবারও ঘূর্ণিঝড়ের আগেই কান্তি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকা রায়দিঘিতে। রায়দিঘির কুমোড়পাড়ায় ঝড় মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি রয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। প্রান্তিক মানুষদের কষ্টের কথাও শুনলেন। ঝড়ের সতর্কতা হিসেবে পরামর্শও দিলেন।
বস্তুত, বাম নেতৃত্বের সেই দাপট আর নেই। তবে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আজও সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে গিয়েছেন। কখনো নিজের তাগিদে, কখনো ডাক পেয়ে বিপন্ন মানুষদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। বাম আমলে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তবে বর্তমানে মন্ত্রী বা বিধায়ক পদেও নেই। আগের মতো সামর্থ্যও আর নেই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ভেঙেছে। তবু বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কোনও কিছুই ভাবেন না। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “প্রশাসন যোগাযোগ করেনি। করবেও না। তবে প্রতিবার আমি থাকি। যদি রাতে ঝড় আসে। আর পূবের হাওয়া হয় তাহলে নদী বাঁধ টপকে জল ঢুকবে। ভাঙবে।” এও অভিযোগ করে বললেন, “বাঁধের কাজ সেচ দফতর তো করে। ১০০ দিনের কাজে নদী বাঁধে মাটি দেওয়া হয়। গত চার পাঁচ বছর ধরে সেই মাটি দেওয়া হয়নি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours