উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদনগর অঞ্চলে বসবাস করেতেন বাবা নিতাই কুণ্ডু ও তাঁর মেয়ে টুম্পা কুণ্ডু। জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে নিতাইবাবু হোটেলে কাজ করতেন। পরে বয়সজনিত কারণে সেই কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়েন।


 মেয়ে মারা গিয়েছে ৪ দিন, তাকেই আগলে ধরে পাশে শুয়ে বাবা, কাঁচড়াপাড়ায় আতঙ্ক
কাঁচড়াপাড়ায় কী কাণ্ড


কাঁচড়াপাড়া: বাড়িতে থাকতেন শুধু মেয়ে আর বাবা। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের। তারপর বাড়ি থেকে একটা উটকো গন্ধ নাকে পৌঁছতেই সেই সন্দেহ আরও বাড়ে। পরে কিছু একটা আঁচ করতে পেরেই এলাকাবাসীই খবর দেয় পুলিশে। তাঁরা এসে দরজা ভেঙে দেখেন মেয়ের মৃতদেহ আগলে তাঁর পাশেই শুয়ে রয়েছেন বাবা।

উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদনগর অঞ্চলে বসবাস করেতেন বাবা নিতাই কুণ্ডু ও তাঁর মেয়ে টুম্পা কুণ্ডু। জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে নিতাইবাবু হোটেলে কাজ করতেন। পরে বয়সজনিত কারণে সেই কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে চেয়েচিন্তে চলে যেত তাঁর।


তবে বিগত চারদিন ধরে তাদের কোনও আওয়াজ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তার উপর সেই উটকো গন্ধ পেতেই খবর দেন বীজপুর থানার পুলিশে। আর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাবাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এলাকাবাসীর অনুমান অপুষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা আলোচনা করছিলাম যে মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে না। এরপর একটা ইঁদুর পচা গন্ধ পাচ্ছিলাম শুক্রবার। তখনই বুঝি টুম্পা মারা গিয়েছে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে দেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমরা শুনতে পেয়েছি মেয়েটির শরীরে গামছা ছিল। বাবা তার মেয়েকে আগলে শুয়ে থাকে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours