এমন কথাও শোনা যায়, বিয়ে করে বচ্চন পরিবারের বউ হয়ে আসার পর নাকি জয়া বচ্চন চেয়েছিলেন ঐশ্বর্যএই কাজ কমিয়ে দিক। জয়া নাকি মোটেই চাইতেন না বাড়ির বউ জনপ্রিয়তা পাক। এই পরিবার ঐশ্বর্যর থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে। বদলে দিয়েছে কতখানি। এখন তো আবার শোনা যাচ্ছে, ঐশ্বর্য-অভিষেকের বিয়েটাও নাকি ভেঙে যাচ্ছে।
অভিষেককে তুষ্ট করতেই জীবনের বিরাট সিদ্ধান্ত ঐশ্বর্যর, ছাড়লেন...
(বাঁ দিক থেকে) অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
২০০৭ সালে বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হয়ে আসেন ভারতবর্ষের প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড এবং বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। তিনি বিয়ে করেন অমিতাভ বচ্চন এবং অভিনেত্রী জয় বচ্চনের পুত্র অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে। সেই বিয়ে ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। অভিষেক ঐশ্বর্যর রাজকীয় বিয়ের যাবতীয় ফুটেজ দেখেছিল গোটা বিশ্ব। তার আগে বলিউডের হাই ভোল্টেজ বিয়ের খুঁটিনাটি দেখেনি কেউই। অতীতের বিয়েগুলির গোটাটাই চাপা থেকেছে ব্যক্তিগত পরিসরে। অভিষেককে বিয়ে করে বচ্চনদের বাড়ির বউমা হয়ে এলেন রাই সুন্দরী। ঐশ্বর্য রাইয়ের নামের সঙ্গে জুটল বচ্চন পদবীটা।
মজার কথা এটাই–বচ্চন পরিবারের বউ হওয়া সত্ত্বেও, চিরটাকাল ঐশ্বর্যর একটা স্বতন্ত্রের পরিচয় ছিল। সেই পরিচয় তাঁর অর্জিত ১৯৯৪ সালে। ভারতের প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেন এই সুন্দরী। তারপর দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ ঘটল। বলিউডেও নিজের পাকাপোক্ত জায়গা তৈরি করলেন ঐশ্বর্য। চলে এলেন বচ্চন পরিবারে। জানলে অবাক হবেন, অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের যৌথ সম্পত্তির প্রায় কাছাকাছি সম্পত্তির মালকিন ঐশ্বর্য নিজে। অমিতাভ জয়ের যৌথ সম্পত্তির অঙ্কটা যদি ১০০০ কোটি টাকার হয়। ঐশ্বর্যর নিজস্ব সম্পত্তি ৮০০ কোটি টাকারও বেশি। সেই সম্পত্তির ধারেকাছেও নেই তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চন। যদিও বা বাবা অমিতাভে সম্পত্তির অর্ধেক অংশ পাবেন তিনিই।
বড়লোক এবং সু-প্রতিষ্ঠিত বাবার পুত্র অভিষেক বচ্চন। বাবা অমিতাভ বচ্চনের মতো সাফল্য এখনো পর্যন্ত পাননি অভিষেক। বিখ্যাত বাবার পুত্র হবার এটা একটা বিরাট বিরম্বনা। প্রদীপের তলায় যেমন অন্ধকার থাকে। অতি বিখ্যাতদের সন্তানেরা যদি নিজেদের প্রমাণ করতে না পারেন তেমনই অন্ধকারে তলিয়ে যান। পুরোপুরি অন্ধকারে তলিয়ে না গেলেও বাবার খ্যাতির সমান-সমান হতে পারেননি অভিষেক। তাঁকে টপকে যাওয়া তো দূরের কথা। এ হেন অভিষেক নিজের জীবনে যাতে আরও বেশি প্রতিষ্ঠা পেতে পারেন, তাই নিজেকে কাজ থেকে অনেকটাই গুঁটিয়ে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। একেই তিনি স্বামীর চেয়ে বেশি জনপ্রিয়, তার উপর বিয়ের পর যদি আরও বেশি কাজ করেন আরও খ্যাতি বাড়ত। সেই আশঙ্কায় আত্মত্যাগ করেছিলেন। নিজেকে গুঁটিয়ে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। এগিয়ে দিয়েছিলেন স্বামীকে। তাঁর এই আত্মত্যাগের কথা ক’জন জানেন?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours