ভিডিয়োতে দেখা যায়, বারবার কোরে পড়ে যাচ্ছে। বাবা তারপরও ঠেলে তুলে দিচ্ছেন ছেলেকে, বলছেন ছুটতেই হবে। যদিও টিভিনাইন বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে কোর্টে স্বামীর বিরুদ্ধেই সাক্ষী দেন কোরের মা। ভিডিয়োটি যখন কোর্টরুমে চালানো হয়, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি।

 ৬ বছরের ছেলে 'বড্ড মোটা'! ট্রেডমিলে ছুটিয়ে শেষই করে দিলেন বাবা
ছোট্ট কোরের মৃত্যুতে দোষী সাব্যস্ত হন বাবা।

 ৬ বছরের ছেলে বাবার চোখে বড্ড মোটা। তাই বাবা ঠিক করেন ছেলেকে ট্রেডমিলে দৌড় করাবেন। ছোটাতেই থাকবেন, যতক্ষণ না ছেলে হচ্ছে ‘মেদহীন’। আর তাতেই ঘটিয়ে বসলেন সাংঘাতিক অপরাধ। প্রথমে মা কিছু বুঝতে পারেননি। কোর্টরুমে জিমের সেই ভিডিয়ো দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।


২০২১ সালের ঘটনা। ৩১ বছর বয়সি গ্রেগর তাঁর ছেলে কোরে মিসিওলোকে জোর করে ট্রেডমিলে তুলেছিলেন ওজন কমানোর জন্য। গ্রেগরের মনে হতো তাঁর ছেলে ‘বড্ড মোটা’। সে কারণে ৬ বছরের ছেলেকে ট্রেডমিলে তুলে গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অতিরিক্ত। বাবার মনে হয়েছিল, ছেলে যত জোরে ছুটবে মেদ ঝরবে!


অথচ ছোট্ট কোরে ওই গতির সঙ্গে ছুটে উঠতেই পারেনি। বারবার মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছিল ট্রেডমিলে। বাবা আবার টেনে তুলে ছুটতে বাধ্য করছিলেন। ২০২১ সালের ২০ মার্চের সেই দিনটার ছবিও কোর্টরুমে তুলে ধরা হয়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, বারবার কোরে পড়ে যাচ্ছে। বাবা তারপরও ঠেলে তুলে দিচ্ছেন ছেলেকে, বলছেন ছুটতেই হবে। শুধু তাই নয়, ট্রেডমিলের স্পিডও বারবার বাড়াতে থাকেন তিনি। যদিও টিভিনাইন বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে কোর্টে স্বামীর বিরুদ্ধেই সাক্ষী দেন কোরের মা। ভিডিয়োটি যখন কোর্টরুমে চালানো হয়, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি।

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট শিশুটি কখনও ট্রেডমিল থেকে পিছনে ছিটকে পড়ছে, কখনও আবার মুখ থুবড়ে পড়ছে ট্রেড মিলের উপরই। তবে নাছোড় বাবা বারবার টেনে তুলে দৌড় করাচ্ছেন ছেলেকে।


যেদিন ট্রেডমিলে ছোটানো হয় কোরেকে, পরদিন সকাল থেকে খুব বমি করছিল সে। পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ছোট্ট কোরে সবটা জানায়। যদিও তাকে বাঁচানো যায়নি। কোরের ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখে জানা যায়, বুকে নানা ক্ষত হয়েছিল তার। হৃদযন্ত্রের সূক্ষ্ম যে স্তর তাতেও আঘাত লাগে, আঘাত ছিল শরীরের আরও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। ২০২১ সালের জুলাই মাসেই গ্রেগরকে গ্রেফতার করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours