কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর এই গরম বাড়তে আরও বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে কোলেস্টেরলের। কেনই বা গরমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে এবং কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন? টিপস দিচ্ছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র ডাঃ অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় এবং সিএমআরআই হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ইপ্সিতা চক্রবর্তী।

 গরমে বাড়বাড়ন্ত কোলেস্টেরলের? চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নিন মুক্তির উপায়


আজকাল এক ক্লিকেই পছন্দের খাবার পাওয়া যায়। ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সাহায্যে যখন-তখন ফাস্ট ফুড অর্ডার করা যায়। এমনকি রাত ১২টা বাজলেও পছন্দের আইসক্রিম থেকে পিৎজা, সবই মেলে। কিন্তু ঘন ঘন ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস কম বয়সে কোলেস্টেরলের সমস্যা ডেকে আনতে পারে, তা কি জানেন? কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর এই গরম বাড়তে আরও বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে কোলেস্টেরলের। কেনই বা গরমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে এবং কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন? টিপস দিচ্ছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র ডাঃ অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় এবং সিএমআরআই হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ইপ্সিতা চক্রবর্তী।


যে কারণে গরমে বাড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা-

ডাঃ অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা প্রায়শই রাস্তায় খাবার খাই। যত বেশি তেলযুক্ত খাবার খাব, কোলেস্টেরলের মাত্রা ততই বাড়বে। গ্রীষ্মকালেও আমরা যদি ঘন ঘন এই ধরনের খাবার খাই, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে বাধ্য। আর স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। তাই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।”




উচ্চ তাপমাত্রাও বিপাকক্রিয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর জেরেও বাড়ছে কোলেস্টেরল। পুষ্টিবিদ ইপ্সিতা চক্রবর্তীর কথায়, দীর্ঘ দিন ধরে গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে পিত্ত অ্যাসিড বিপাকের কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। এর জেরে লিপিড বিপাক ও শোষণও ব্যাহত হয়। আর এই প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রীষ্মকালে যে উপায়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবেন-

এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেলে ওষুধের সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে। তার সঙ্গে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। হালকা শরীরচর্চা‌র পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। ইপ্সিতা বলেন, “কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর, নোনতা খাবার খান। ফল ও শাকসবজিও রাখুন।” কচু, পেয়ারা, তালশাঁসের মতো খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ইপ্সিতা। এছাড়াও যে সব ফল ও সবজিতে জলের পরিমাণ বেশি, যেমন শসা ও ডাবের জল, এগুলো বেশি করে খান। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে রান্না করা তাজা ও হালকা খাবার বেছে নিন এবং খালি পেটে কাজে বেরোনো বন্ধ করুন।

ডাঃ অনির্বাণও একই টিপস শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, “সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়া ভাল। এতে তেলের পরিমাণও কম থাকবে। পাশাপাশি ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার খান। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।” ডায়েটের এসব টিপস মানলেই গরমে বশে থাকবে কোলেস্টেরল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours