সেই সময় ইন্ডাস্ট্রিতে এক্কেবারে নতুনই ছিলেন জয়া বচ্চন। অমিতাভের সঙ্গে সেই হৃদ্যতাই তৈরি হয়নি তাঁর। ১৯৭১ সালে 'গুড্ডি' ছবির শুটিংয়ের সময় জয়ার মনে প্রেমের ফুল ফুটিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। শুরু হয়েছিল অজানা সিলসিলা...
১৯৭১ থেকে ধর্মেন্দ্রকেই মনে-মনে ভালবাসতেন, বুড়ো বয়সে স্বীকার করলেন জয়া
জয়া-ধর্মেন্দ্র।
‘শোলে’ ছবিতে তাঁর স্বামী এবং ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে অভিনয় করতেন। সেই ধর্মেন্দ্রর উপর নাকি বিরাট ক্রাশ ছিল বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের। ২০২৩ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র-জয়া। এবং সেই ছবির প্রচারের সময়ই এই গোপন সত্যি সামনে এনেছিলেন জয়া।
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির প্রচারে ছবির পরিচালক করণ জোহরের জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এ আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে হাজির হয়েছিলেন জয়া। সেই শো-এ গিয়েই ধর্মেন্দ্রর প্রতি তাঁর গোপন ভালবাসার কথা অকপট ব্যক্ত করেছিলেন জয়া। বলেছিলেন, “আমি ধর্মেন্দ্রকে ভীষণই ভালবাসতাম একটা সময়। তিনি আমার ক্রাশ ছিলেন। আমার সঙ্গে যখন তাঁর প্রথম আলাপ করানো হয়, এরকমই একটি লম্বা সোফায় বসেছিলাম আমি। ধর্মেন্দ্রকে দেখে আমার এত্ত নার্ভাস লেগেছিল যে আমি সেই সোফার পিছনে লুকিয়ে পড়েছিলাম, জানেন। বুঝতেই পারছিলাম না আমার কী করা উচিত। কী দারুণ দেখতে ছিল ধর্মেন্দ্রকে। এখনও আমার মনে আছে, তিনি একটি সাদা রঙের ট্রাউজ়ার পরে এসেছিলেন। সাদা শার্টও পরেছিলেন তিনি। গ্রিক গডের মতো দেখতে লাগছিল তাঁকে।”
জয়া বচ্চন অভিনীত কালজয়ী ছবি ‘গুড্ডি’তে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জয়া। ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘গুড্ডি’। তখন ধর্মেন্দ্রর উপর দারুণ ক্রাশ ছিল জয়ার। এই বিষয়টি ধর্মেন্দ্রও জানেন। Zoom TV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, “এটা জয়া বচ্চনের আমার প্রতি ভালবাসা এবং সম্মান। জয়া এবং অমিতাভকে তো আজকে থেকে আমি চিনি না। কয়েক যুগ কেটে গিয়েছে। আমার আজও মনে আছে ‘শোলে’ ছবির সময় আমরা কত্ত মজা করেছিলাম।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours