বোর্ডে মাত্র ১৩৯ রানের লক্ষ্য। দিল্লি ক্যাপিটালসের যা ব্যাটিং আক্রমণ, সহজেই এই লক্ষ্য পূরণের কথা। ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং ৬০ রানে ভিত গড়ে দেন। ইনিংসের ১৪ তম ওভারে মেগ ল্যানিং ফিরতেই যেন প্যানিক বাটনে হাত পড়েছিল দিল্লির। 

দলীয় ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে আউট জেমাইমা রডরিগজ। তখনও ম্যাচ দিল্লির হাতেই। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে দীপ্তি শর্মা। জোড়া উইকেটে ওভার শুরু করেন। চতুর্থ বলে আরও একটি উইকেট!

 ১১ বলে ছয় উইকেট! দীপ্তির দাপটে ১ রানে জয় UP-র

ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা। এতটা অনিশ্চিয়তার! এ যেন বিশ্বাসই করা যায় না। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে শেষ পাঁচ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলই জিতেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম ইউপি ওয়ারিয়র্স ম্যাচে সেই পরিসংখ্যান বদলে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। পরিস্থিতি পুরোপুরি দিল্লি ক্যাপিটালসের নিয়ন্ত্রণে। ১১ বলের মধ্যেই ম্যাচ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল! এমনও হয়? দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম ইউপি ওয়ারিয়র্স ম্যাচে এমনটাই হল। মাত্র ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল ওয়ারিয়র্স। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

এ বারের লিগে দুরন্ত পারফর্ম করছে দিল্লি ক্যাপিটালস। বোলিং কম্বিনেশনে তিতাস সাধু যোগ দেওয়ায় ভারসাম্য বেড়েছে। বোলাররা ভরসা দিলেন। কিন্তু শেষটা এমন হবে এ যেন প্রত্যাশার বাইরে। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করলেন ইউপি শিবিরে বাংলার অলরাউন্ডার। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অ্যালিসা হিলি। তিতাস সাধুর অনবদ্য বোলিং। মেগ ল্যানিংয়ের বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাপ্টেন্সি। দীপ্তি শর্মার হাফসেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৮ রান করে ওয়ারিয়র্স। দিল্লির পেসার তিতাস সাধু ২ উইকেট নেন।

বোর্ডে মাত্র ১৩৯ রানের লক্ষ্য। দিল্লি ক্যাপিটালসের যা ব্যাটিং আক্রমণ, সহজেই এই লক্ষ্য পূরণের কথা। ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং ৬০ রানে ভিত গড়ে দেন। ইনিংসের ১৪ তম ওভারে মেগ ল্যানিং ফিরতেই যেন প্যানিক বাটনে হাত পড়েছিল দিল্লির। দলীয় ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে আউট জেমাইমা রডরিগজ। তখনও ম্যাচ দিল্লির হাতেই। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে দীপ্তি শর্মা। জোড়া উইকেটে ওভার শুরু করেন। চতুর্থ বলে আরও একটি উইকেট!

শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১০ রান। ছয় দিয়ে শুরু করেন রাধা যাদব। পরের বলে ২ রান। ৪ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল দিল্লির। তৃতীয় বলে আউট রাধা। পরের বলেই রান আউট। শেষ ২ বলে ২ রান, ১ উইকেট। তিতাস সাধু ক্রিজে। বল হাতে তিনি যতটা আত্মবিশ্বাসী, ব্যাটিংয়ে তেমনই কিছু প্রয়োজন ছিল। যদিও তাঁর শট মিড অনে ক্যাচ। ১৩৭ রানেই অলআউট দিল্লি। ১ বল বাকি থাকতে ১ রানে জয় ওয়ারিয়র্সের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours