কালিম্পং-এর বাসিন্দা উরজেন তামাং। প্রতারিত হয়ে তিনি রাশিয়া থেকে ভারত সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। কালিম্পং-এ তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সাহায্য চেয়েছেন ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান অনিত থাপা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
রুশ যুদ্ধক্ষেত্রে বাংলার বাসিন্দা! সাহায্য চাইলেন দিদি-মোদীর
রাশিয়া থেকে ভিডিয়ো বার্তা পাঠালেন উরজেন তামাং
চলতি মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, ভারতীয়দের ভুল বুঝিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধ করতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে হায়দরাবাদের এক যুবকের। এবার, একই ধরনের প্রতারণা অভিযোগ করলেন বাংলার এক বাসিন্দাও। ৪৭ বছর বয়সী প্রাক্তন সেনা কর্মী উরজেন তামাং-এর দাবি, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার অজুহাতে তাঁকে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল ট্রাভেল এজেন্টরা। কিন্তু, সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ইউক্রেন যুদ্ধে একজন রুশ যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। কালিম্পং-এর বাসিন্দা উরজেন তামাং। প্রতারিত হয়ে তিনি রাশিয়া থেকে ভারত সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। কালিম্পং-এ তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সাহায্য চেয়েছেন ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান অনিত থাপা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জানা গিয়েছে কালিম্পংয়ের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের চিবো পুরবুং-এর বাসিন্দা উরজেন। ঘরে রয়েছেন উরজেনের স্ত্রী অম্বিকা তামাং এবং তাঁদের দুই সন্তান। অম্বিকা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি ঘর ছেড়েছিলেন উরজেন। কিন্তু, সেই সময় তাঁদের ধারনাই ছিল না যে, তাঁদের সঙ্গে কেউ প্রতারণা করছে। উরজেনকে যুদ্ধে পাঠানো হবে। গত শুক্রবার উরজেনের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে তাঁর। রাশিয়া থেকে ফোন করেছিলেন ভারতীয় সেনার এই প্রাক্তন কর্মী। উরজেন তাঁকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে বলেছেন। তিনিই স্ত্রীকে বলেছেন সরকারের সাহায্য চাইতে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এখন যুদ্ধক্ষেত্রেই আছেন। যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। অম্বিকা বলেছেন, “শুনেছি কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। তাঁরা কোনোভাবে আমাদের সাহায্য করবেন বলে আশা করছি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours