শ্রেয়সের কেরিয়ারের এ বারের আইপিএল খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পরই শুরু হয়ে যাবে আইপিএল। এই টুর্নামেন্ট থেকেই বাছা হবে বিশ্বকাপের টিম। যদি খেলতে না পারেন, যদি ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে না পারেন, তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিমে সুযোগ পাওয়া মুশকিল হবে। তা খুব ভালো করেই জানেন শ্রেয়স আইয়ার।

ফের গভীর আশঙ্কা, ক্যাপ্টেনকে এ বারের আইপিএলেও পাবে না KKR?
 ফের গভীর আশঙ্কা, ক্যাপ্টেনকে এ বারের আইপিএলেও পাবে না KKR?

কলকাতা: দিল্লি থেকে সাড়ে ১২ কোটি খরচ করে কেনা হয়েছিল যাঁকে, তিনি এক মিনিটের জন্যও নামতে পারেননি মাঠে। পুরো আইপিএলই কেটেছে চোটের আঁধারে। ক্যাপ্টেন করা হলেও শেষ মুহূর্তে দায়িত্ব দিতে হয়েছিল অন্য এক সিনিয়রকে। পিঠের চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন টিম থেকে। অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছিল। প্রায় মাস ছয়েক পর ফিরেছিলেন জাতীয় টিমে। দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপও খেলেছেন। ভাবা হয়েছিল, এ বার তিনি দলবল নিয়ে নামবেন। তাঁর নেতৃত্বেই ট্রফির খরা কাটিয়ে সাফল্য পাবে টিম। সে সম্ভাবনা হঠাৎই লেগেছে ধাক্কা! কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারকে (Shreyas Iyer) ঘিরে হঠাৎই আশঙ্কা। গৌতম গম্ভীরের কেকেআর বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে।


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের বাকি তিন টেস্ট থেকে শুক্রবার ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়স। জানা গিয়েছে, পিঠ ও কুঁচকির চোটের জন্যই তিনি খেলতে পারছেন না। বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চোটের পরীক্ষা হবে শ্রেয়সের। পিঠের পুরনো চোট কি মাথাচাড়া দিয়েছে, কেকেআর শিবিরে এখন এই প্রশ্নই ঘুরে-ফিরে বেড়াচ্ছে। গম্ভীর সহ পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ চিন্তায়। এনসিএ-র চিকিৎসকরা কী রায় দেন, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে কেকেআর। গতবার আইপিএল খেলতে না পারা শ্রেয়সের কাছে এ বারের টুর্নামেন্ট সব অর্থে গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ বছরের ক্রিকেটার এ বার যদি নেতৃত্ব দিতে না পারেন, তা হলে ভাইস ক্যাপ্টেন নীতীশ রানাকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে উঠছে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে কেকেআরে। তবে এখনই তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না গম্ভীরের টিম।

শ্রেয়সকে নিয়ে এমনিতেই কথা উঠছে কিছু দিন ধরে। গত বছর নভেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ওয়ান ডে ম্যাচে শেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনালে ১০৫ করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কার্যত বড় রানের খোঁজ দিতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫৩ করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গে ওয়ান ডে ম্যাচে করেছিলেন ৫২। তার পর থেকে আর রান নেই ব্যাটে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটো টেস্টের চারটে ইনিংসে ৩১, ৬, ০, ৪ করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে করেছিলেন ৪৮। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুটো টেস্টের চারটে ইনিংসে ৩৫, ১৩, ২৭ আর ২৯ করেছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে তাও পারফর্ম করেছেন, কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে চরম ব্যর্থ। শ্রেয়সের পরিবর্তে টেস্টে নতুন কাউকে খেলানোর পরামর্শও দিচ্ছিলেন প্রাক্তনরা।


শ্রেয়সের কেরিয়ারের এ বারের আইপিএল খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পরই শুরু হয়ে যাবে আইপিএল। এই টুর্নামেন্ট থেকেই বাছা হবে বিশ্বকাপের টিম। যদি খেলতে না পারেন, যদি ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে না পারেন, তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিমে সুযোগ পাওয়া মুশকিল হবে। তা খুব ভালো করেই জানেন শ্রেয়স আইয়ার।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours