কলিঙ্গ সুপার কাপে কাল বড় ম্যাচ। গ্রুপ থেকে একটিই দল সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে। সেই সুবাদে বলা যেতে পারে, ডার্বি কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে ম্যাচ ড্র হলে বেশি গোল করার জন্য অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি এলে সমর্থকদের যেমন মর্গ্যানের কথা মনে পড়ে, তেমনই প্রাক্তন কোচ মর্গ্যানও ভোলেননি প্রিয় ইস্টবেঙ্গলকে। অস্ট্রেলিয়ার পারথ থেকে হোয়াটস অ্যাপে তিনি যা বললেন...।
'ডার্বিতে এ বার দাপট দেখাবে ইস্টবেঙ্গল...' ডার্বির আগে সাক্ষাৎকারে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মর্গ্যান
কলিঙ্গ সুপার কাপের ডার্বিতে আগামী কাল মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। মরসুমে এর আগেও দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রধান। স্কোরলাইন এখন ১-১। সুপার কাপের ডার্বি কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে ম্যাচ ড্র হলে বেশি গোল করার জন্য অ্যাডভান্টেজে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলকে হাতের তালুর মতো চেনেন। মোহনবাগানকেও জানেন শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে। মরসুমের তৃতীয় কলকাতা ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের একান্ত সাক্ষাৎকার রইল অস্ট্রেলিয়ার পারথ থেকে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি যা বললেন…। ডার্বি এলে সমর্থকদের যেমন মর্গ্যানের কথা মনে পড়ে, তেমনই মর্গ্যানও ভোলেননি প্রিয় ইস্টবেঙ্গলকে।
আপনি কি জানেন কাল আরও একটা কলকাতা ডার্বি? ইস্টবেঙ্গলের খেলা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন?
মর্গ্যান: অবশ্যই খোঁজ রাখি। আগেও রাখতাম। সবসময়ই ইস্টবেঙ্গলের খেলার খবর রাখি।
তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জানেন, এ মরসুমে দুটি ডার্বি হয়েছে ডুরান্ড কাপে। টানা আটটি হারের পর গ্রুপ পর্বে ডার্বি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও ফাইনালে হেরে যায় তারা?
মর্গ্যান:শুধু এটাই নয়, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখনও অবধি বড় ম্যাচে মোহনবাগানেরই দাপট দেখা গিয়েছে। আশা করি, কাল এই ধারায় পরিবর্তন হবে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হাসি মুখে বাড়ি ফিরতে পারবে।
ইস্টবেঙ্গলে আপনার কোচিং কেরিয়ারে সেরা মুহূর্ত কোনটি। যা আপনি আজীবন মনে রাখবেন?
মর্গ্যান: ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে প্রথম মরসুমেই ফেডারেশন কাপ জিতেছিলাম। ফাইনালে মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম আমরা। সেটা অবশ্যই স্মরণীয়। আজীবন মনে রাখার মতোই। এ ছাড়াও লিগের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কলকাতা জেতাটাও মনে রাখার মতো। আর বলতে পারেন, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আইএফএ শিল্ড সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটের সেই জয়। যেখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম, অ্যান্ড্রু বরিসিচ শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়েছিল। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে জিতে ফাইনালে গিয়েছিলাম আমরা। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে এই তিনটে ম্যাচ আমার কাছে সেরার তালিকায় থাকবে।
ভারতীয় ফুটবল বা বলা ভালো কলকাতা ফুটবলের কোন বিষয়গুলো এখন মিস করেন?
মর্গ্যান: আমরা ম্যাচ জিতছি, সমর্থকরা হাসি মুখে বাড়ি ফিরছে, এই ব্যাপারটা বড্ড মিস করি। ওই মুহূর্তগুলো মনে রাখার মতো। এ ছাড়া খাবারের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। ওখানকার খাবার এখনও মিস করি।
আপনি যেমন ইস্টবেঙ্গলের খোঁজ রাখেন বলছেন, সমর্থকরাও কি এখনও আপনাকে মেসেজ করে?
মর্গ্যান: অবশ্যই। আমার জন্মদিন, বড়দিন, নববর্ষ এবং বাংলার যে উৎসব হয়, সব সময়ই আমার কাছে প্রচুর মেসেজ আসে সমর্থকদের কাছ থেকে। এ বারের জন্মদিনেও আমার কিছু ছবির কোলাজ পাঠিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের এক সমর্থক।
এই প্রশ্নটা হয়তো একটু কষ্ট দিতে পারে আপনাকে, যদি আপনার কাছে সুযোগ থাকতো ভুল শুধরানোর, ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে কোন দুটো ভুল আপনি শুধরে নিতেন?
মর্গ্যান: হাহাহা। সত্যি বলতে, ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে আমি দুটো নয়, অনেক ভুল করেছি। প্রত্যেকটা ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করেছি। তবে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করিয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। সে সময় আমার টিমে দুর্দান্ত প্লেয়ার ছিল। সাফল্য এবং ব্যর্থতায় সমর্থকরা কেমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, সেটাও শেখার বিষয়।
এতটা সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কালকের ম্যাচ নিয়ে কিছু বলবেন?
মর্গ্যান: ইস্টবেঙ্গল টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আশা করি ওরা সমর্থকদের হাসি মুখে মাঠ ছাড়ার সুযোগ করে দেবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours