পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সইদুল আলি শেখ। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। পেশায় গাড়ির চালক ওই ব্যক্তি থাকতেন বারুইপুর বলবনের পৌর এলাকায়। গতকাল রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরার পথে সাগীর, আজিজুল,সাদ্দাম, সহ তাদের, দলবল মিলে প্রথমে মারধর করে। পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তাঁকে।


বাড়ির সামনে কুপিয়ে-কুপিয়ে TMC কর্মীকে খুন, স্ত্রী-মেয়ের গায়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ
সাইদুল আলি শেখ, মৃত তৃণমূল কর্মী

বারুইপুর: জয়নগরের পর এবার বারুইপুর। ফের খুন তৃণমূল কর্মী। কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ। শনিবার রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর চড়াও হয় সাত-আটজনমৃ কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সইদুল আলি শেখ। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। পেশায় গাড়ির চালক ওই ব্যক্তি থাকতেন বারুইপুর বলবনের পৌর এলাকায়। গতকাল রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরার পথে সাগীর, আজিজুল,সাদ্দাম, সহ তাদের, দলবল মিলে প্রথমে মারধর করে। পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তাঁকে। যদিও, পরিবারের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল তাদের। এই ঘটনার পর রাত্রিবেলাই আহত অবস্থায় সইদুলকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূলের অভিযোগ সিপিএম ও বিজেপি মিলিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গৌতম কুমার দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, “সিপিএম বিজেপি যৌথভাবে নির্দল প্রার্থী দিয়ে আমাদের হারাতে চেয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি। তৃণমূলই জেতে। সইদুল অনেক সহযোগিতা করেছিল ভোটে। সেই কারণেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। ওকে বাড়ির সামনেই কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ওর বৌ প্রাণ ভিক্ষা করে। কিন্তু বৌ-মেয়ের গায়েও আগুন ধরিয়ে দেয়।” সিপিএম নেতা লাহেক আলি বলেন,”সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সিপিএম খুনের রাজনীতি করে না। তৃণমূল লুঠের রাজনীতি করতে চেয়েছিল। তার জন্যই গোষ্ঠী কোন্দলে খুন হতে হল তাঁকে।” বিজেপি নেতা সুনিপ দাস বলেন, “এই সব ছেদো কথা। এটা ওদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours