যাদবপুরকাণ্ডে শুরুতে গ্রেফতার করা হয় সৌরভ, দীপশেখর, মনোতোষ নামে তিন ছাত্রকে। এর মধ্য়ে সৌরভ চৌধুরী প্রাক্তনী। বুধবার গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে।

Jadavpur University: ‘ভাই এরকম করতে পারে না’, বলছেন যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত এগরার সপ্তকের দাদাবামদিকে সপ্তক কামিল্যা, ডানদিকে সৌরিন্দ্র কামিল্যা

এগরা: যাদবপুর কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যার। বি.টেক পাশ সপ্তক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তনী। প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার র‌্যাগিং ও মৃত্যুর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁর খোঁজে এগরায় আসে যাদবপুর থানার পুলিশ। এগরা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সটান শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যায় পুলিশ। সেখানেই অভিযুক্তের বাড়ি। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় সপ্তককে। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ। এগরা শহরের প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণকার ও ব্যবসায়ী তাপস কামিল্যার সন্তান সপ্তক। এলাকায় আবার নেশাড়ুদের তালিকায় নাম রয়েছে যাদবপুরের সপ্তকের। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন থেকেই মাদকের নেশায় আসক্ত রয়েছেন তিনি। এরইমধ্য়ে যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। 


সূত্রের খবর, সপ্তক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কার্যত বাড়িতেই আত্মগোপন করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শহরের দক্ষিণ বাজারের দোকানেও এদিন দেখা মেলেনি তাঁর বাবা তাপসের। দোকান কর্মচারীরাও সেভাবে কিছুই বলতে পারেননি। ঘটনায় সপ্তকের কাকার ছেলে সৌরিন্দ্র কামিল্যা বলছেন, “আমার সঙ্গে খুব একটা দেখা হত না। ও কী করছে, না করছে কিছুই জানতাম না। সংবাদমাধ্যমে যেটুকু জানতে পেরেছি তার বেশি জানি না। তবে আমি মনে করি না ও ওরকম করেছে। ছেলে হিসাবে ও খুবই ভাল।”  


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours