জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আসানসোল সিজেএম আদালত।

Jitendra Tewari: জামিন অধরা, ১৪ দিনের জেল হেফাজত জিতেন্দ্র তিওয়ারিরজিতেন্দ্র তিওয়ারি, (নিজস্ব চিত্র)
আসানসোল: মিলল না জামিন। জেলেই ঠাঁই হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। মঙ্গলবার জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আসানসোল সিজেএম আদালত (Asansol Court)। যদিও সরকারি আইনজীবী জিতেন্দ্রকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্রর আইনজীবী। তারপর প্রায় পৌনে দু-ঘণ্টার শুনানিতে তীব্র বাদানুবাদ, টানটান উত্তেজনা শেষে জিতেন্দ্রকে জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।


আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আসানসোল সিজেএম আদালতে জিতেন্দ্রর কম্বল বিতরণ নিয়ে মামলার শুনানির শুরুতেই সরকারি আইনজীবী জিতেন্দ্রকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানান। এই দাবির স্বপক্ষে তিনি বলেন, “কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে যে বিদ্যুতের বিল দেখানো হয়েছে তা ভুয়ো, ওই দিন যে ডেকরেটর কাজ করেছিলেন তাঁর লাইসেন্স নেই, ৩ হাজার কম্বল কিনে ৬ হাজার কুপন বিলি করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে এরকমই নানা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাই ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ জানতে পুলিশি হেফাজত নেওয়া যেতে পারে।” হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে তদন্ত বিনা বাধায় অগ্রসর হবে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তদন্তের স্বার্থেই জিতেন্দ্রকে আবার পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি জানান সরকারি কৌঁসুলী।

যদিও সরকারি আইনজীবীর যুক্তির পাল্টা বিরোধিতা করে জিতেন্দ্র জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। তিনি বলেন, “আমার মক্কেল পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র, প্রাক্তন জেলা সভাপতি। তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছেন তিনি। জামিন দিলে তিনি আদালতের সব নির্দেশ মেনে চলবেন।” পুনরায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁর মক্কেলকে অপদস্থ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।



CM Mamata Banerjee: ‘দল যাকে দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই লোক পাঠাচ্ছে’, জাকিরের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মমতার
বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর তীব্র বাদানুবাদের পর শুনানির শেষলগ্নে জিতেন্দ্র নিজে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য বিচারককে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “একটু ভালো করে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হোক। একটা অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার জন্য তিনজন মারা যান। এদের মধ্যে দুজন ওই এলাকার এবং আরেকজন অন্য জায়গার। যে বাইরের তাঁর পরিবারের একজনকে দিয়ে ভুল বুঝিয়ে মামলা করানো হল। অনুষ্ঠান যে জায়গায় হয়েছে সেখানে যে দুজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কেউ মামলা করলেন না। কারণ তাঁরা জানতেন ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা। পরদিনই সরকার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একটি সরকারি চাকরির ঘোষণা করে। চাকরি পাওয়ার আশায় তিনি মামলা করেছেন।”

জিতেন্দ্র আরও বলেন, “আমার বা আমার পরিবারের কারও কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। একটা সামাজিক কাজ করতে গিয়ে আজ আমি হেফাজতে। আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে অপদস্থ করা হয়েছে।” এরপর বিচারকের উদ্দেশ্যে বিজেপি নেতা আবেদন করেন, ছটপুজোয় তাঁকে হেফাজতে থাকতে হল। রামনবমীর মিছিলে তিনি প্রতি বছরই অংশগ্রহণ করেন। অনুগ্রহ করে রায় দেওয়ার আগে এই কথাগুলোও বিবেচনা করা হোক। যদিও শেষ পর্যন্ত জিতেন্দ্র তিওয়ারির আবেদন গ্রাহ্য করেনি আদালত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours