বিরোধীদের প্রশ্ন বহিষ্কারের তালিকায় শুধু কুন্তল বা শান্তনু কেন?


নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারর হওয়া হুগলি জেলার তৃণমূলের দুই যুবনেতাকে মঙ্গলবারই বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক, বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসকদলের এমন স্বীকারোক্তিতে বিরোধীরাও বিঁধতে ছাড়ছেন না তৃণমূলকে। এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হল কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। তৃণমূল বলছে, দলের এই সিদ্ধান্ত আদতে নেতা-কর্মীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিল। দুর্নীতির সঙ্গে যে কোনও ভাবেই আপোষ করা হবে না, সেটাই নাকি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনের সিদ্ধান্তে।


হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী রুনা খাতুন এদিন বলেন, ‘যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে, দল কখনই তাদের পাশে দাঁড়াবে না। দলের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে দুষ্কৃতী হোক বা দুর্নীতিগ্রস্ত, কাউকেই তৃণমূল নিরাপত্তা দিচ্ছে না।’

বলাগড় ব্লক, যেখানে শান্তনু ও কুন্তলের বাড়ি, সেই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্য়ায়ও বলছেন, ‘এটা হওয়ারই ছিল। দল সঠিক সিন্ধান্ত নিয়েছে।’ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোনও অবস্থাতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না, তেমনটাই দাবি নবীন বাবুর।


তবে বিরোধীদের প্রশ্ন বহিষ্কারের তালিকায় শুধু কুন্তল বা শান্তনু কেন? বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘কুন্তল ও শান্তনুকে বহিষ্কার করে তৃণমূল নিজেদের স্বচ্ছ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁদের দলে বড় বড় রাঘব-বোয়াল আছে। তাঁদের কী হবে? কেন মাথাদের বহিষ্কার নয়?’

অন্যদিকে, সিপিএমের হুগলি জেলার মুখপাত্র অর্ণব দাস বলেন, ‘সাড়ে তিনশ কোটি টাকা কোথায় গেল? তার ভাগ কি দলের নেতারা পায়নি? আসল মাথাকে ধরতে হবে এবং সঠিক তদন্ত করতে হবে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে সাড়ে তিনশ কোটির কেলেঙ্কারি হয়েছে।

হুগলি জেলা কংগ্রেসের নেতা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, মানিক-অনুব্রতকে ছাড় দেওয়া হল কেন? তাঁর কথায়, তৃণমূল গোটা দলটাই বিষবৃক্ষ। শান্তনু-কুন্তলকে বহিষ্কার করে লোক দেখানো হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours