এই গ্রামের মানুষ শিস দিয়ে ডাকেন একে অপরকে। শব্দ উচ্চারণের বদলে সুর করে নাম ডাকে। ভাবতে অবাক লাগছে? ভারতেই রয়েছে হুইসলিং ভিলেজের অস্তিত্ব।

জল-জঙ্গল-পাহাড়-ঝরনায় ঘেরা মেঘালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। যদিও অমিত-লাবণ্যের সূত্রে ধরে শিলংয়ের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় বহুদিনের। তবে, ‘শেষের কবিতা’য় মেঘালয়ের সেই গ্রামের কথা উল্লেখ নেই, যেখানে নামে নয়, মানুষ চেনে সুরে। যদিও নামে কি বা এসে যায়! তাই তো কংথং গ্রামের মানুষ শিস দিয়ে ডাকেন একে অপরকে। শব্দ উচ্চারণের বদলে সুর করে নাম ডাকে। ভাবতে অবাক লাগছে? এই গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে মেঘালয়ে। পর্যটকেরা বলেন হুইসলিং ভিলেজ। অর্থাৎ ‘শিসের গ্রাম’।

শিলং থেকে প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কংথং। এই গ্রামের বাসিন্দারা একে অপরকে নামে ডাকেন না। শিস দিয়ে সুর করে ডাকেন। স্থানীয়দের ভাষায় একে বলে জিঙ্গরই লবেই। নবজাতকের জন্মের পর মা যে ঘুমপারানিয়া গান গেয়ে ওঠেন, সেটাই হয়ে যায় শিশুর নাম। সেই সুরই হয়ে ওঠে নবজাতকের পরিচয়। প্রতিটা মায়ের গলা সুর আলাদা হয়। তাই সেই সুর চিনতে খুব বেশি সমস্যা হয় না।

যদিও কংথং গ্রামের প্রতিটা মানুষের দুটো করে নাম রয়েছে। একটা এই শিসের সুর। আর একটা খাতায়-কলমে ভাল নাম। সুতরাং, এক্ষেত্রে শিসের সুরকে ডাকনাম বললেও ভুল হবে না। আবার এই শিসের সুরও দু’প্রকার। একটা সংক্ষিপ্ত—খুব বেশি হলে ১০ সেকেন্ড। আর একটা দীর্ঘ—৩০ সেকেন্ডের সুর। সাধারণত বনে-জঙ্গলে এবং পাহাড়ের এই শিসের সুর ব্যবহার করা হয় একে অপরে ডাকতে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours