গজরাজ মহিলার মাথায় শুঁড় ঠেকাচ্ছে এবং মাথা নাড়াচ্ছে, যেন তাঁকে নাচ চালিয়ে যেতে বলছেন।

গজরাজকে এদেশে সাধারণত দেবদূত হিসাবে মানা হয়। অনেক জায়গায় হাতিকে পুজোও করা হয়। তবে হাতিকে কখনও আশীর্বাদ দিতে দেখা যায়নি। বর্ষশেষে এমনই ঘটনার সাক্ষী হল কর্নাটকের শ্রী দুর্গা পরমেশ্বরী মন্দির। নৃত্যরত এক মহিলার মাথায় শুঁড় ঠেকিয়ে আশীর্বাদ করলেন গজরাজ। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা করজোড়ে আশীর্বাদ প্রার্থনা করলে পুনরায় তাঁর মাথায় শুঁড় ঠেকিয়ে আশীর্বাদ করেন এবং মাথা নাড়িয়ে পুনরায় নাচতে উৎসাহ দেন। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও গোটা ঘটনাটি শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রের দৌলতে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন শিল্পপতি মাহিন্দ্র।

ভিডিয়োটি ক্লিপসে ঠিক কী দেখা যাচ্ছে?
শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্র নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হাতির আশীর্বাদ করার দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। প্রথম ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি মন্দিরের ভিতর ঐতিহ্যবাহী নাচের পোশাক পরে এক মহিলা নাচ করছেন। সেই সময় পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে একটি হাতি। মহিলা নাচতে-নাচতে পিছনে ফিরে গজরাজকে দেখতে পান এবং হাত জোড় করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করছেন। তখন গজরাজ শুঁড় উঁচিয়ে ওই মহিলার মাথায় ঠেকায়।

দ্বিতীয় ভিডিয়ো ক্লিপসটিতে দেখা যাচ্ছে, গজরাজ পুনরায় একই কায়দায় শুঁড় ওই মহিলার মাথায় ঠেকাচ্ছে এবং মাথা নাড়াচ্ছে, যেন তাঁকে নাচ চালিয়ে যেতে বলছেন।
আনন্দ মাহিন্দ্রার এই টুইট-পোস্ট ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। নেটিজেনদের রিয়্যাকশন ও কমেন্টসে ভরে গিয়েছে তাঁর পোস্ট। একজন লিখেছেন, “হাতিটির চেহারা এতটাই মায়াবী যে, তাঁকে দেখে ভক্তি উদ্বেলিত হচ্ছে।” আরেকজন লিখেছেন, “মন্দিরের হাতিটি সত্যিই দারুণ…সবসময় যেন সকলকে তার শুঁড় দিয়ে আশীর্বাদ করছে।” আবার একজন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসঙ্গ টেনে লিখেছেন, “এটা সত্যিই প্রকৃত ভারতীয় সংস্কৃতি।” প্রায় সকলেই ভিডিয়োটি ‘অসাধারণ’, ‘লাভলি’ বলে উল্লেখ করেছেন। নতুন বছর শুরুর প্রাক্কালে এটা বড় পাওনা বলে মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours