যে খুচরো ব্যবসায়ী মাছগুলি হামিদের কাছ থেকে কিনে নেন, তিনি আবার সেই ৬টি মাছের দাম রেখেছেন ২০ হাজার টাকা।


কক্সবাজার জেলার টেকনাফে প্রায় প্রায়ই এমন শোরগোল ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তা বলে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে ভাবতেই পারেননি দরিদ্র জেলে। রবিবার নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান স্থানীয় ওই ধীবর। তখন রাত প্রায় ৮টা বাজে। মনে হচ্ছিল জালে ভাল কিছুই উঠেছে। তবে এত ভাল আশা করেননি তিনি। জাল গোটাতেই দেখতে পেলেন তিন জোড়া রূপালি শস্য জালে। ওজনও নেহাত কম নয়। একসঙ্গে ৬টি ইলিশ জালে উঠতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন ওই জেলে। জানা গিয়েছে, ৬টি ইলিশ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।



স্থানীয় জাদিমোরা জেলেপাড়ার বাসিন্দা হামিদ উল্লাহ রবিবার বিকেলে মাছ ধরতে যান নাফ নদীতে। হামিদের একটি ছোট্ট নৌকা আছে। তা নিয়েই নদীর বুকে জাল ফেলে বসে থাকেন। যেদিন যা ওঠে, তা বিক্রি করেই দিন গুজরান তাঁর।

রবিবার যে এমন কিছু হবে ভাবতেই পারেননি। জাল ফেলে সঙ্গে থাকা বড়শিতে মাছ ধরতে থাকেন ওই জেলে। টুকটাক মাছও উঠছিল। এরইমধ্যে রাত বাড়ায় জাল গোটাতে যান। তখনই জাল বেশ ভারী লাগে। জাল টেনে দেখেন ৬টি ইলিশ মাছ। এক একটির ওজন প্রায় ২ কেজির কাছাকাছি। সেই মাছ নিয়ে বাজারে ছুটে যান তিনি। ১৭ হাজার টাকায় সেগুলি বিক্রি করেন।

6 পিস মাছ বিক্রি করে জেলের হাতে ১৭ হাজার টাকা নগদ! নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ওই ব্যক্তি। তবে যে খুচরো ব্যবসায়ী মাছগুলি হামিদের কাছ থেকে কিনে নেন, তিনি আবার সেই ৬টি মাছের দাম রেখেছেন ২০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, নাফ নদীর জল সুস্বাদু। তাই এই নদীর ইলিশ মাছের দামও বেশি হয়। এই টেকনাফে এর আগে ৩০০ মন মাছ উদ্ধারের খবর পাওয়া গিয়েছিল। প্রচুর মাছ উদ্ধার হয় টেকনাফের সৈকতে। লক্ষ লক্ষ টাকার মাছের ব্যবসা হয় এখান থেকে। এবার ১৭ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করলেন এক মৎস্যজীবী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours