যখন বক্তব্য রাখছেন তখন মাঠে হাতে গোনা কিছু লোক। এ ছবি দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


কার্যত ফাঁকা মাঠে ভাষণ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। নন্দীগ্রামের (Nandigram) মত জায়গায় রাস উৎসবের মঞ্চে রাজ্যের কারা মন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বুধবার নন্দীগ্রামের ভাইবোন সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত রাস উৎসবের মহাভোগ বিতরনের উদ্বোধনে যান মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। ভোগ বিতরণের কিছুটা আগেই পৌঁছে যান তিনি। মন্ত্রী এসে যাওয়ায় উদ্যোক্তারা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে দেন। মন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখছেন তখন মাঠে হাতে গোনা জন তিরিশ লোক।

এ ছবি দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পঞ্চায়েতের আগে এই ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে অখিল গিরিকে বলতে শোনা যায়, “এই অনুষ্ঠানে এই প্রথম আমি এলাম। এই গ্রামের মানুষরা যেভাবে একসঙ্গে মিলে এই অনুষ্ঠান করছেন তা দেখে খুবই ভাল লাগছে। মানুষ এক থাকুক, ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকুক এটাই দরকার। আজ আমি সঠিক সময়ে আসতে পারিনি। গ্রামের মানুষের তো অনেক কাজ থাকে সেই কাজ শেষ করে তাঁদের আসতে দেরি হয়। ১১টায় ভোগ বিতরণের সময় থাকলেও ১২টা বেজে যেতেই পারে। প্রতিবছরই এটা হয়ে থাকে। যেখানে দুপুরবেলা প্রসাদ বিতরণ হয় সর্বত্রই এ ছবি দেখা যায়। দুপুরে সবাই একটু দেরি করে আসেন।”

যদিও অখিল গিরির উদ্দেশে পাল্টা বক্রোক্তি ছুঁড়ে দিয়ে বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “অখিল গিরি কেবলমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করে বলে তাঁকে মন্ত্রী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিল গিরির সেই ক্ষমতা নেই, যোগ্যতাও নেই। তাই তাঁকে মন্ত্রী বলেন তাঁর দলেরই লোকেরা মানে না। যাঁকে মন্ত্রী বলে মানে না তাঁর ডাকে যাবে কেন। শুভেন্দুবাবুকে নন্দীগ্রামের মানুষেরা ভগবানের মতো মনে করে। সেই শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এসে অখিল গিড়ির মতো এক মন্ত্রী এসে সভা করবে আর সেখানে লোক হবে এটা ভাবা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ”   
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours