মৃতার বাবার দাবি, দীর্ঘদিন থেকেই ঠিকমতো পড়াশোনা করছিল না সুমি। বেশিরভাগ সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত।


ছোট থেকেই আসক্তি ছিল মোবাইল গেমের প্রতি। পড়াশোনা ছেড়ে সারাক্ষণ মোবাইল নিয়েই বসে থাকত। আগেও একাধিকবার বাবা-মা বকা দিলেও কাজ হয়নি। বদলায়নি অভ্যাস। শেষে ফের বকা খেয়ে আত্মঘাতী হতে দেখা গিয়েছিল শান্তিপুর থানার মাঠপাড়া এলাকার কিশোর সতীশ ওড়াংকে। গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মগাতী হয়েছিল সতীশ। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুরে। মৃতার নাম সুমি খাতুন (১৮)।



পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই ঠিকমতো পড়াশোনা করছিল না সুমি। বেশিরভাগ সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত। যে কারণে মা-বাবার কাছে একাধিকবার বকাঝকাও খায়। কিন্তু, তারপরেও কাজ হয়নি। মঙ্গলবারও ফের বাড়িতে মেয়ের মোবাইল ফোন ঘাঁটা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। ফের তাঁকে বকা দেয় তাঁর বাবা-মা। সেই অভিমানেই কীটনাশক খেয়ে নেন ওই তরুণী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেইই পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। 


ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার বাবা সুফিয়ান শেখ বলেন, “এবার ইংরাজি অনার্স নিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু, পড়াশোনা না করে সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ব্য়স্ত থাকত। প্রাইভেট টিউটরও আমাকে ডেকেছিল। ওনার কাছেও গিয়েছিলাম মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে। অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করলে যেখানে ১১-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হত সেখানে ও এক থেকে দেড় ঘণ্টাও পড়ত না। সে কারণেই বকা দেওয়া হয়েছিল। তাতেই রাগ থেকে এ কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। কীটনাশক খাওয়ার পর নিজেই মাকে এসে জানায়।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours