হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের শরীরে প্লেটলেট দ্রুত কমতে শুরু করেছিল। এরপর বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ডেঙ্গির আতঙ্ক (Dengue Panic) কিছুতেই কাটছে না রাজ্যে। ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া স্প্রে, নিকাশি নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়া… সবই চলছে। কিন্তু তাও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। এরই মধ্যে হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ৯ বছর বয়সি ওই নাবালকের নাম জিসান রাজা। বাড়ি হাওড়া পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পিলখানা সেকেন্ড বাইলেন এলাকায়। গত ৩ নভেম্বর থেকে জ্বরে ভুগছিল ওই শিশু। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে দেখা যায়, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ওই শিশু। এরপর আর দেরি না করে কলকাতার মুকুন্দপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালকের শরীরে প্লেটলেট দ্রুত কমতে শুরু করেছিল। এরপর বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অতিরিক্ত কর্মী লাগিয়ে ডেঙ্গু মোকাবেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবুও কোনও কোনও জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। যদিও এই ঘটনার রিপোর্ট আমার হাতে নেই। তবুও আমাদের কাছে সব মৃত্যুই দুঃখজনক।” এদিকে এখনও পর্যন্ত হাওড়া পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সাতজন রোগীর মৃত্যু হল। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাওড়া পৌর এলাকায় গত সাতদিনে ৩১৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২৫ জন।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার দুপুরেই নবান্নে একপ্রস্থ বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা, হাওড়াও আধিকারিকরাও। ডেঙ্গি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও ডেঙ্গি পরীক্ষার উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। কারও জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours