নিয়োগের দাবিতে বহু প্রার্থী রাস্তায় বসে দিনের পর দিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আদালতের নির্দেশে তাঁদের মধ্যে অনেকেই আশার আলো দেখছেন।

এত দিনের লড়াই অবশেষে স্বার্থক হতে চলেছে! উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের প্রক্রিয়া ঘোষণা মতো এগোচ্ছে বলেই জানালেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার সাত দিন আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এসএসসি চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের পর ব্যতিক্রমী নিয়োগ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ২০ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।

বুধবার TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে নোটিস আপলোড করা হবে আগামী ১৪ নভেম্বর। সাতদিন আগে প্রার্থীদের জানানোর জন্য এই নোটিস দেওয়া হবে। অর্থাৎ নোটিস বেরনোর সাতদিন পর থেকে শুরু হয়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া। ১৫৮৫ জনকে ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ পুজোর ছুটির জন্য কোনও দেরি করা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট দিনেই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে ১৫৮৫ জনকে সুযোগ দেওয়া হলেও, বঞ্চিতদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। বাকিদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

অন্যদিকে, যাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের চিহ্নিত করে চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ২০ জনের চাকরি ‘ব্যতিক্রমী’ বলে বাতিল করা হয়েছে। আদালতে হলফনামা দিয়ে সেই পরিসংখ্যান জানিয়েছে এসএসসি। বিভিন্ন মামলায় এই ২০ জনের নাম উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। নবম- দশমে মোট ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে এসএসসি। সিবিআই-এর হিসেবে সেই সংখ্যাটা আরও বেশি। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর এতদিন পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। ফলে, আদালত পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করবে, সেই প্রশ্নও রয়ে যাচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours