লোভনীয় খাবার দেখে সেগুলি থেকে বেশিক্ষণ মুখ ফিরিয়েও নেওয়া যায় না। তাই অনিয়ম হতেই থাকে। রঙিন ও আলোকময় উত্‍সবের মরসুমে যে যে খাবার একেবারেই ছোঁবেন না, তা জেনে নিন...



দিওয়ালি, কালীপুজো, ভাইফোঁটা সব মিলিয়ে উত্‍সবের আমেজ একেবারে জমে গিয়েছে। সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো, ছট পুজো। দীপাবলির এই পাঁচদিন ধরে ভারতীয়রা দেশি মুডেই থাকেন। উত্‍সব মানেই খাওয়া-দাওয়া, মিষ্টি, ক্যালোরি যুক্ত খাবার। সঙ্গে বাড়িতে প্রচুর আত্মীয়ের ভিড় হলে তো কথাই নেই। উত্‍সবের সময় গৃহস্থের বাড়িতে লুচি, পকোড়া, মিষ্টি, বিরিয়ানি, মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকেজজাত খাবার, কার্বনাইটেড পানীয়, দোকান থেকে যখন-তখন খাবার অর্ডার করে খাওয়া, এই সবই হজম ও গোটা শরীরকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। তবে এইসবের মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন ডায়াবেটিসের রোগীরা। লোভনীয় খাবার দেখে সেগুলি থেকে বেশিক্ষণ মুখ ফিরিয়েও নেওয়া যায় না। তাই অনিয়ম হতেই থাকে। রঙিন ও আলোকময় উত্‍সবের মরসুমে যে যে খাবার একেবারেই ছোঁবেন না, তা জেনে নিন…


ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার

কালীপুজো, ভাইফোঁটা এই সব অনুষ্ঠানে ময়দা দিয়ে তৈরি নানা সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়েই থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীরা যতটা সম্বব ময়দা-জাত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পরিশোধিত ময়দাতে কোনও ফাইবার থাকে না। থাকে সাধারণ চিনি। মিহি করে আটা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ময়দার পরিবর্তে বাজরা বা মাল্টিগ্রেন ময়দা দিয়ে খাবার তৈরি করতে পারেন।

চিনিযুক্ত পানীয় বা কার্বোনেটেড পানীয়

উত্‍সবের দিনে খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিশ্রমও হয় বেশি। অত্যাধিক তৃষ্ণার লক্ষণ দেখা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের। তেষ্টা মেটাতে ঠান্ডা কোক বা চিনিযুক্ত ও কার্বোনেটেড পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে কোনও পুষ্টি তো নেই, বরং ক্যালোরি বেড়ে গিয়ে সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। খুব সহজে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়।

ডিপ ফ্রাই ফুড

উত্‍সবের মধ্যে সিঙ্গারা, কচুরি, চপ, কাটলেট না হলে কি চলে? কিন্ত এই খাবারগুলি যতই অস্বাস্থ্যকর হোক না কেন, খাওয়ার লোভ সামলানো অসম্ভব। এই খাবারগুলি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা শুধু বেড়ে যায় তাই নয়, বরং ওজন বৃদ্ধির কারণও হতে পারে। এছড়া রান্না করার সময় একই তেল বারবার ব্যবহার করার ফলে ট্রান্স-ফ্যাটের পরিমাণও বেড়ে যায়। ট্রান্স ফ্যাট হল খারাপ ফ্যাট. যা রক্তের লিপিডগুলিকে ধবংস করে দেয়।

প্রচুর চকোলেট ও মিষ্টি

ডায়াবেটিসের সঙ্গে উত্‍সবে সামিল থাকার ব্যাপারে অল্প হলেও সতর্ক থাকা দরকার। দোকান থেকে কেনা মিষ্টি, প্রচুর চকোলেট, কুকিজ, ডোনাট ও সুস্বাদু খাবার এই উত্‍সবের মরসুমে বাড়িতে মজুত থাকেই। সেই সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ময়দা. চিনির মাত্রা বেশি থাকে। তবে বাড়িতে তৈরি মিষ্টিতে অনেকটা মিষ্টি নিয়ন্ত্রণ রেখে করা হয়। তাতে স্বাদও যেমন ঠিক থাকে, আবার স্বাস্থ্যকরও।

ভাজা ও নোনতা বাদাম




বাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারী। এতে থাকে প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো ভাল চর্বি। ভাজা ও নোনতা বাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল একটি বিকল্প হতে পারে না। অতিরিক্ত লবণ ও তেল হার্টের সুস্থতার জন্য একদমই ভাল নয়। এতে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। রামা, আখরোট, পেস্তা, কাজুবাদাম , এই সব কিছুই কাঁচা বা ভেজে রেখে খেতে পারেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours