সন্ত্রাস দমনের কৌশল হিসাবে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্যে জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র কার্যালয় খোলা হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর), হরিয়ানার সুরজকুন্ডে সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজিত এক 'চিন্তন শিবিরে' বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।


সন্ত্রাস দমনের কৌশল হিসাবে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্যে জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র কার্যালয় খোলা হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর), হরিয়ানার সুরজকুন্ডে সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজিত এক ‘চিন্তন শিবিরে’ বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিটি রাজ্যে এনআইএ-র শাখা স্থাপনের পাশাপাশি এদিন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং অন্যান্য অপরাধ মোকাবিলা সম্পর্কে সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানান অমিত শাহ।

দুই দিন ধরে চলবে এই চিন্তন শিবির। শিবিরের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “এই চিন্তন শিবির সাইবার অপরাধ, মাদক পাচার, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং এই ধরনের অন্যান্য অপরাধ মোকাবিলায় একটি যৌথ পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করবে।” তিনি আরও জানান, জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে তাদের আওতার বাইরে গিয়ে কাজ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

এদিন অমিত শাহ সংসদে শীঘ্রই নতুন ফৌজদারি বিধি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির খসড়া প্রবর্তনের বিষয়ে মোদী সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সিআরপিসি এবং আইপিসি-র উন্নতির বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে। আমি বিস্তারিতভাবে এটা দেখছি, এর পিছনে দীর্ঘ সময় দিয়েছি। আমরা খুব শীগগিরই সংসদে নতুন সিআরপিসি এবং আইপিসি-র খসড়া নিয়ে আসব।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন সমবায়মূলক যুক্ররাষ্ট্রতন্ত্রকে শক্তিশালী করার উপরও জোর দেন। অমিত শাহ বলেন, “আমাদের তিনটি ‘সি’-কে গুরুত্ব দিতে হবে – কো-অপারেশন (সমবায়), কো-অর্ডিনেশন (সমন্বয়) এবং কোলাবরেশন (সহযোগিতা)। আমাদের সমবায়মূলক যুক্তরাষ্ট্রতন্ত্র এবং সামগ্রিক-সরকার পদ্ধতির লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে… সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং সম্পদের একীকরণ প্রয়োজন।”



অমিত শাহের দাবি, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং অসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করার পর থেকে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ৩৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর হার ৬৪ শতাংশ এবং অসামরিক ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার ৮৯ শতাংশ কমে গিয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours