পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি ইস্যুতে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না, সেই কারণে আদালতের কাছে কমিশনের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল তারা।

সোমবার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) আবেদন খারিজ করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High Court)। উপহার মামলায় স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থাকার জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান। বিদেশি নেতাদের থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে শাস্তিস্বরূপ নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য ইমরানের কোনও সরকারি পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এমনকী সংসদের সদস্যপদও খারিজ করেছিল কমিশন।



পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি ইস্যুতে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না, সেই কারণে আদালতের কাছে কমিশনের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল তারা। যদিও কমিশনের নির্দেশ নিয়ে ধন্দ ছিল যে সংসদে ইমরানের পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরুর নিষেধাজ্ঞা থাকবে না কি, রায় ঘোষণার দিন থেকে আগামী পাঁচবছরের জন্য সেই রায় বলবৎ হবে। বর্তমান পাক জাতীয় সংসদের মেয়াদ ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামী ২০২৩ সালের এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হবে। আইনসভার সদস্য হিসেবে এপ্রিলে ইস্তফা দিলেও তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও গ্রহণ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে চলতি মেয়াদ শেষেই ইমরানের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর সরকারি সফরে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের থেকে দামী উপহার পেয়েছিলেন ইমরান, যা জাতীয় কোষগারে জমা ছিল। পরবর্তীকালে তোষাখানা থেকে কমদামে উপহারগুলি কিনে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল ইমরানের বিরুদ্ধে। উপহারের মধ্যে ছিল একটি গ্রাফ ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামি কলম, একটি আংটি এবং চারটি রোলেক্স ঘড়ি। বর্তমান জোট সরকার এই কারণে ইমরানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিল। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ইমরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল কমিশন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours