টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে আড্ডায় এ প্রশ্ন করতেই হেসে উঠলেন তৃণা। ছোটবেলার লক্ষীপুজো আর এখনকার লক্ষ্মীপুজো-- দায়িত্ব কি বেড়েছে কিছুটা নীলের?



ধনদেবীর আরাধনায় আজ সকলে। দুপুরে ঘড়ির কাঁটায় পূর্ণিমা শুরু হতেই বাড়ি বাড়ি শঙ্খধ্বনি, শুরু হয়েছে মন্ত্রপাঠ সঙ্গে মন ভোলানো সব প্রসাদ। টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহার বাড়িতেও ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে লক্ষ্মী পুজো। কী হচ্ছে সেখানে? বিয়ের বেশি দিন হয়নি তাঁদের। দায়িত্ব কি নিচ্ছেন নীল? বাজার থেকে শুরু করে ফর্দ মিলিয়ে জিনিস আনা– এ সবই কি করছেন তাঁরা?

টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে আড্ডায় এ প্রশ্ন করতেই হেসে উঠলেন তৃণা। ছোটবেলার লক্ষীপুজো আর এখনকার লক্ষ্মীপুজো– দায়িত্ব কি বেড়েছে কিছুটা নীলের? নীল উত্তর দেওয়ার আগেই হাসতে হাসতে তাঁকে প্রায় থামিয়েই দিলেন তৃণা। এরপরেই বেশ জোর গলাতেই অভিনেত্রীর ঘোষণা, “কোনও দায়িত্ব বাড়েনি।” নীলও সম্মতি জানান স্ত্রী কথাতেই। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, দায়িত্বের সবটাই সামলান বাবা-মা আর তৃণাই। বড় জোর দোকান থেকে মিষ্টি কিনে আনেন, ব্যস ওইটুকুই। আর ফর্দ মিলিয়ে বাজার? এবার আবারও তৃণার এন্ট্রি। নীলের কথার মাঝখানেই হাসতে হাসতে অভিনেত্রীর উত্তর, “সেটা আবার কী জিনিস? ফর্দ! নীল এসব কোনওদিন চোখেও দেখেনি।” পাল্টা নীলের উত্তর, “আমায় লিস্ট দিয়ে দাও আমি অনলাইন অ্যাপে সব কিছু আনিয়ে দেব”। সে যাই হোক না কেন, জোগাড় যন্ত্র করে বেশ ভালভাবেই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন ওই সেলেব কাপলের বাড়িতে। মায়ের আশীর্বাদে ধন দৌলত ভালই উপার্জন করছেন স্বামী-স্ত্রী। কী চাইলেন এবার?

নীল বললেন, “ছোটবেলা থেকে জেনেছি যেটা মায়ের কাছে চাওয়া হয়, তা নাকি সবার সামনে বলতে নেই। তাও চাইব কোভিডের সেই সময়টা যেন আর ফিরে না আসুক। সবাই যা যা চাইছে, সবার সব আশা যেন পূর্ণ হোক।” নাড়ু বিশেষ পছন্দ নয় নীলের। তবে প্রসাদের মধ্যে লুচি, ফুলকপি আর চাটনি দেখলেই মন ভুলে যায় ডায়েট। তাই পুজো সেরে সে সব সাবাড় করাই লক্ষ্য তাঁর। সঙ্গে যে লক্ষ্মীমন্ত তৃণা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours