দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজোতেও ধরনামঞ্চেই বসে থাকলেন চাকরি প্রার্থীরা।

৫৭৪ দিন হয়ে গেল ধর্মতলায় ধরনায় বসে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। এসএলএসটি নবম-দ্বাদশদের এই ধরনামঞ্চেই এদিন লক্ষ্মীপুজোও করেন চাকরি প্রার্থীরা। একজন চাকরিপ্রার্থী ধরনামঞ্চে লক্ষ্মী সেজে বসেন। সঙ্গে আরও এক চাকরিপ্রার্থী সাজেন পুরোহিত। লক্ষ্মীর পাশে যিনি বসে ছিলেন তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো আমাদের ধরনামঞ্চে।’ এর চাকরি প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, “আমরা আর কতদিন রাস্তায় পড়ে থাকব। পাশেই কালকে কার্নিভালের জন্য এত আনন্দ, কিন্তু আমাদের ধরনামঞ্চটাকে সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে রবিবার কুণাল ঘোষ বলেন, সরকার জট খোলার সবরকম চেষ্টা করছে

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “একটা বিষয় যখন ঘটে সেটির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপও থাকতে পারে। কিন্তু মূল জট খোলার কাজটা রাজ্য সরকার করছে। বিরোধীদের একাংশ চাইছে ধরনা মঞ্চগুলো চলুক। কারণ তাদের তো আর অন্য জায়গায় যাওয়ার নেই। আমাদের পরিষ্কার কথা হচ্ছে যাঁরা চাকরি প্রার্থী, যোগ্য় প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের যন্ত্রণা রাজ্য সরকার বোঝে। যদি কোথাও কোনও ভুল হয়ে যায় সংশোধন হচ্ছে। কেউ দোষ করে থাকলে তারও তদন্ত এবং শাস্তি হচ্ছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী চান আগে নিয়োগটা হোক। ফলে সেইমতো শিক্ষামন্ত্রীকেও বলা হয়েছে। একটা জট খোলার চেষ্টা হচ্ছে। এসএসসির ক্ষেত্রে তার বক্তব্য তারা আদালতকে জানিয়ে দিয়েছে। এই দু’টো পথ আছে, বলুন কোনটা করব, আমরা নিয়োগটা শুরু করতে চাই। বাকি প্রসেসটা চলছে।”



একইসঙ্গে কুণালের বক্তব্য, “বিষয়টি এসএসসি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আদালতকে। কোন পথে এগোবে জানতে চেয়েছে আদালতের কাছে। সদিচ্ছাটা দেখিয়েছে। আদালতের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে প্রার্থীরা যদি মনে করেন, তাঁরা বসে থাকবেন। এখন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের বিষয়।” প্রসঙ্গত, পুজোর দিনগুলোও ধরনামঞ্চেই ছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, নিয়োগ পেলে এরপর তাঁদের সপ্তমী, অষ্টমী আসবে। যদিও পুজোর সময় তাঁদের ধরনামঞ্চ ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একই আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সিমিএম নেতা বিমান বসু।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours