অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে পথ আটকে ভ্লাদিমির পুতিনের গাড়িতে হামলা। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

ফের একবার হত্যার চেষ্টা করা হল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। আর তিনি ফের একবার বেঁচে গেলেন। মস্কো থেকে এই বিষয়ে কিছু না জানানো হলেও, ‘ইউরো উইকলি নিউজ’, নিউজ.কো.এইউ (news.co.au)-সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলি অনুযায়ী, পুতিনকে হত্যার চেষ্টার এই ঘটনাটি জেনারেল জিভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেলের পক্ষ থেকে ফাঁস করা হয়েছে। তবে কবে বা কখন এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। এর আগে ২০১৭ সালে পুতিন নিজেই জানিয়েছিলেন, সারা জীবনে অন্তত পাঁচটি হত্যার প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।



ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই জেনারেল জিভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে ক্রেমলিনের বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে। এই টেলিগ্রাম চ্যানেলই জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের মধ্যে দুটি অনুরূপ দেখতে গাড়ি নিয়ে তাঁর সরকারি বাসভবনে ফিরছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সময়ই হামলাটি ঘটে। একটি লিমুজিন গাড়িতে ছিলেন পুতিন, তাঁর সামনে ছিল আরেকটি একই রকম দেখতে গাড়ি। পুতিনের বাসভবন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, প্রথমে গাড়িটির পথ আটকেছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। হামলার বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্বিতীয় গাড়িটি না থেমে অ্যাম্বুলেন্সটিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়। সেই সময়ই পুতিনের গাড়ির সামনের বাঁদিকের চাকাটিতে প্রচন্ড শব্দে একটা কোনও বস্তু আঘাত করে। গাড়িটি থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ওই অবস্থাতেই, পুতিনকে নিয়ে দ্রুত গাড়িটি এগিয়ে যায়।
সুত্রের খবর, এই ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট অক্ষত থাকলেও, সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। তারপর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনার পাশাপাশি তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে গুজব রটেছে। সম্প্রতি, একের পর এক পুতিন ঘনিষ্ঠ রুশ নেতারও বিভিন্ন রহস্যময় পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনকে ঘিরে থাকা তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্ত ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সূত্রের খবর, রাশিয়ার একাংশের রাজনীতিবিদরা পুতিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছেন। পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার আওয়াজ উঠে গিয়েছে। এই হামলার সঙ্গে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours