কুণালের দাবি, ওই নেতার পুরুষ দেহরক্ষীকে শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছিল, জানাজানির ভয়ে খুন করে দেওয়া হয়েছে। সেই তদন্ত কেন থেমে আছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।

কুণাল-শুভেন্দু তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহিলা পুলিশকে কেন স্পর্শ করতে নিষেধ করেছিলেন, তা নিয়ে দফায় দফায় আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূল। এ দিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে, নাম না করে এক নেতাকে ‘সমকামী’ বলে উল্লেখ করেন কুণাল। এমনকী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ওই নেতার দেহরক্ষীকে খুন করা হয়েছে।



কুণাল ঘোষ এ দিন বলেন, ‘কোনও এক নেতার দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু হয়েছে। আর সেই তদন্তে সমকামের অভিযোগ সামনে আসছে।’ সেই তদন্ত কেন থেমে আছে? দলের তরফ থেকে এ দিন সেই প্রশ্নই তুলেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘কোন সে নেতা, যিনি একজন হোমোসেক্সুয়াল, ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে খুন করেছেন? কেন তদন্ত আটকে আছে?’ আইনি জট থাকলে তা যাতে খোলা হয়, সেই দাবি জানিয়ে কুণাল বলেন, ‘আমরা কারও নাম বলছি না। কোন সে নেতা, যাঁর মহিলায় অ্যালার্জি, পুরুষ দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়েন?’

কুণালের দাবি, পুরুষ দেহরক্ষীকে শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছিল, জানাজানির ভয়ে খুন করে দেওয়া হয়েছে, আর আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে। নাম না করে সেই নেতাকে ‘বিকৃত মনস্ক, সমকামী’ বলে কটাক্ষ করেন কুণাল। এই বক্তব্য শেষে কুণাল বলেন, ‘এটা কিন্তু আমি শুভেন্দুকে বলিনি। বিধিসম্মত সতর্কীকরণ।’

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কুণালের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু। শুধু ‘ডোন্ট টাচ’ বিতর্কই নয়, অধিকারী পরিবারের কোন কোন সদস্য তৃণমূলের জমানায় কোন পদে ছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours