সম্প্রতি বাগুইআটিতে জোড়া খুনের ঘটনায় বিধাননগর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার বদল করা হল। সরানো হল সুপ্রতিম সরকারকে। নতুন সিপি হলেন গৌরব শর্মা। সম্প্রতি বাগুইআটিতে জোড়া খুনের ঘটনায় বিধাননগর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইনশৃঙ্খলার সামনেই ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধাননগরের সিপি সুপ্রতীম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, কেন এত অবহেলা। সেই আবহে এবার বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার বদল নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।



গৌরব শর্মা শিলিগুড়ি কমিশনারেটের দায়িত্বে ছিলেন। এবার তিনি বিধাননগর কমিশনারেটের সিপি। অন্যদিকে সুপ্রতিম সরকারকে পাঠানো হল এডিজি আইজিপি ট্রাফিক অ্যান্ড রোড সেফটিতে (ওয়েস্ট বেঙ্গল)। অন্যদিকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সিপির দায়িত্বে যাচ্ছেন অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী। বদল করা হল কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থকেও। জয়িতা বোসের জায়গায় ডিসি নর্থের দায়িত্ব নেবেন তরুণ হালদার। অন্যদিকে জয়িতা বোসকে পাঠানো হল বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে। এতদিন এই পদে ছিলেন তরুণ হালদার।

গত ২২শে অগস্ট বাগুইআটি থানা এলাকার দুই ছাত্র অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। এরমধ্য়েই ২৩ অগস্ট হাড়োয়া থানা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় দু’টি দেহ উদ্ধারের খবর আসে বিভিন্ন থানায়। খবর যায় বাগুইআটি থানাতেও। এই বাগুইআটি থানা বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে। অতনু-অভিষেকদের পরিবারের দাবি, ২৪ অগস্ট থানায় গিয়ে ছেলেদের নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল তারা। অথচ ৬ সেপ্টেম্বর দেহ উদ্ধারের খবর আসে পরিবারের কাছে। প্রশ্ন ওঠে, মাঝের এতগুলো দিন পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে।

সূত্রের খবর, এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন এত অবহেলা করা হল? মানুষ কেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তা নিয়েও জানতে চান তিনি। প্রশ্ন তোলেন, কেন ১৩ দিন নিখোঁজ থাকার পরেও সিআইডির মিসিং স্কোয়াডকে বিষয়টা জানানো হল না? আইসিকে সাসপেন্ড করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই বাগুইআটি থানার ‘ক্লোজড’ ওসি কল্লোল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours