স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, জেরার মুখে দায় ঠেললেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী । নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে আধিকারিকদের দায়ী করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখত শিক্ষা দফতর, শুধু দফতরের ফাইলে সই করতাম’!

'ভরসা করেছিলাম আধিকারিকদের উপর’
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই হেফাজতে । সিবিআই গোয়ান্দাদের তিনি জানান, ‘সীমিত ভূমিকা ছিল, ভরসা করেছিলাম আধিকারিকদের উপর’। সিবিআইয়ের জেরার মুখে এমনই দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে, সিবিআই সূত্র মারফৎ। 
এবার সিবিআই এর নজর কার দিকে?
এবার সিবিআই এর নজর কার দিকে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার পার্থর বয়ানের সূত্র ধরে সিবিআই দফতরে ডাক পড়তে পারে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের । পার্থর দাবি তুলে ধরে, তাঁদের ডাকতে পারে সিবিআই, এমনটাই বলছে সূত্র। প্রয়োজনে পার্থর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। খবর সিবিআই সূত্রে। 
CBI সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে CBI’এর হাতিয়ার ক্রস ভেরিফিকেশন। সেই সঙ্গে টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালী যোগের সন্ধান পেতে শনিবার সকাল থেকে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যয়কে। আগে জেরায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিল, SSC’র উপদেষ্টা কমিটি গঠনের ফাইলে তিনি সই করেছিলেন। কিন্তু, কমিটি কার নির্দেশে কাজ করত? কীভাবে কাজ করত? সেবিষয়ে কিছুই জানেন না। কিন্তু CBI’এর বক্তব্য, তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষীদের বয়ান থেকে যে বিষয়টি জানা যাচ্ছে, তাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সরাসরি যোগ রয়েছে। মধ্যস্থতাকারীদের দাবি নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে তাদের আলাপ হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে।CBI মনে করছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তথ্য গোপন করছেন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। সূত্রের দাবি, এই বিষয়গুলিই নিয়েই জেরা করা হয়। গ্রুপ-C নিয়োগে প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কার নির্দেশে শান্তিপ্রসাদ সিন্হা তালিকা তৈরি করেছিলেন এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছিলেন? এই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের দাবি। CBI সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরায় অসহোগিতা করছেন। সূত্রের দাবি, তিনি বলেন, মন্ত্রী ছিলাম। আমার কোনও কন্ট্রোল ছিল না।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours